সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা হ্রাসের সংশোধিত বিধির বৈধতা চেয়ে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১১:৩৭ অপরাহ্ন, ২০শে আগস্ট ২০২৩

#

হাইকোর্ট

২০২২ সালে শ্রমবিধি সংশোধনীর মাধ্যমে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা কমিয়ে আনা সংক্রান্ত বিধি ৩৯ক এর বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয় সচিবসহ ৫ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রোববার (২০ আগস্ট) এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ও ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম।

এর আগে গত ২৪ জুলাই ২০২২ সালে শ্রমবিধি সংশোধনীর মাধ্যমে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা কমিয়ে আনা সংক্রান্ত বিধি ৩৯ক এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফ্লাড)-এর পক্ষে সেক্রেটারি হাসিনা রশিদ, বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট গার্মেন্ট ওয়ার্কারস ইউনিয়ন ফেডারেশন (বিআইজিইউএফ)-এর পক্ষে সেক্রেটারি মো. রাশেদুল আলম রাজু, আওয়াজ ফাউন্ডেশনের পক্ষে এর প্রধান নির্বাহী ও সেক্রেটারি নাজমা আক্তার এবং সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষে এর সেক্রেটারি খাদিজা আকতার রিটটি দায়ের করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, শ্রম আইন থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধাগুলো যথাযথভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। অথচ ২০২২ সালে শ্রমবিধি ২০১৫ সংশোধনীর মাধ্যমে কর্মজীবী প্রসূতি নারীদের সেই অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে। আইন বহির্ভূতভাবে মাতৃত্বকালীন সুবিধা সম্পর্কিত নারী কর্মীদের অধিকারকে নতুন করে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। শ্রম বিধিমালা ২০১৫ সংশোধনের পরে মাতৃত্বকালীন ভাতা হ্রাস করা মহিলা শ্রমিকদের অধিকারের ওপর একটি মারাত্মক আঘাতের শামিল। এমনকি বিষয়টি শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যার কারণে এই শ্রম বিধির সংশোধিত বিধি ৩৯ক শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪৮(২) এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। অর্থাৎ সংশোধিত বিধিতে প্রদত্ত অংকের হিসাব গ্রহণ করলে মূল শ্রম আইনে প্রদত্ত প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা কমে যায়। তাই এ রিট দায়ের করা হয়েছিল।

শ্রম আইন, ২০০৬ এর ৪৮(১) ধারায় বলা হয়েছে, এ আইনের অধীনে যে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদেয় হবে তা উপধারা (২) এ উল্লেখিত পন্থায় গণনা করে দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক যে তেগত্রে যা প্রযোজ্য, গড় মজুরি হারে সম্পূর্ণ নগদে প্রদান করতে হবে; (২) উপধারা (১) এর প্রয়োজনে দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক গড় মজুরি গণনার জন্য সংশ্লিষ্ট মহিলা কর্তৃক এই অধ্যায়ের অধীন নোটিশ প্রদানের অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন মাসে তার প্রাপ্ত মোট মজুরিকে উক্ত সময়ে তার মোট প্রকৃত কাজের দিনগুলো দ্বারা ভাগ করতে হবে।

আর ২০২২ সালে সংশোধিত বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ এর ৩৯ক বিধিতে বলা হয়েছে, (১) ধারা ৪৮(২) অনুযায়ী প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা হিসাব করার ক্ষেত্রে শ্রমিকের সর্বশেষ মাসিক প্রাপ্ত মোট মজুরিকে ২৬ দ্বারা ভাগ করে ১ দিনের গড় মজুরি নির্ধারণ করতে হবে; (২) প্রতিষ্ঠানে ভবিষ্যৎ তহবিলের বিধান থাকলে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধাভোগীর ভবিষ্যৎ তহবিলে প্রদেয় চাঁদা তার প্রাপ্য সুবিধা হতে আইনের বিধান অনুযায়ী কর্তন করতে হবে।

এসকে/  

প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা হাইকোর্ট

খবরটি শেয়ার করুন