ছবি-সংগৃহীত
খেতে তেতো কিন্তু উপকারে ভরা। বলা হচ্ছে সবজি হিসেবে পরিচিত করলার কথা। তরকারি হিসেবে করলা পুষ্টিকর। তবে এর জুস বা শরবত বানিয়ে খেলে বেশি উপকার মেলে। বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও এই জুস কাজ করে।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসকেরা বরাবরই করলার মতো সবজির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাদের ভাষ্য, নিয়মিত এইসব সবজি পাতে রাখলেই একাধিক গুরুতর রোগের ফাঁদ এড়ানো যাবে। তাই তো রোজের পাতে এইসব সবজিকে জায়গা করে দেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে জেনে রাখুন, এইসব সবজি রান্না করে খাওয়ার পরিবর্তে জুস করে খেলে উপকার মিলবে আরও বেশি। এমনকি নিয়ন্ত্রণে থাকবে একাধিক ক্রনিক অসুখ। তাই সুস্থ থাকার ইচ্ছে থাকলে রোজ সকালে এক কাপ উচ্ছে বা করলার জুস পান করুন। তাহলেই স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই পানীয়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ফোলেট, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ সহ একাধিক জরুরি ভিটামিন ও থনিজ। তাই তো আর দেরি না করে এই পানীয়ের একাধিক চোখ ধাঁধানো গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন।
১. সুগার থাকবে কন্ট্রোলে
ডায়াবেটিস একটি জটিল অসুখ। এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে নিউরোপ্যাথি, হার্ট ডিজিজ, কিডনি জিজিজসহ একাধিক ভয়াবহ রোগের ফাঁদে পড়তে পারেন। তাই স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে ডায়াবেটিসকে বাগে আনতেই হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে উচ্ছে ও করলার জুস।
২. ঝরবে বাড়তি মেদ
ওজন স্বাভাবিকের গণ্ডি পেরিয়ে গেলেই চিত্তির! এই কারণে ডায়াবিটিস, প্রেশার, কোলেস্টেরলসহ একাধিক ভয়ংকর অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে। তাই চিকিৎসকেরা সকলকেই ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৩. ক্যানসারের ফাঁদ এড়ানো যাবে
ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী অসুখে আক্রান্ত হলে রোগী এবং তার পরিবারকে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়। তাই তো ক্যানসার প্রতিরোধের চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখা চলবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিয়মিত করলার জুস খেলেই কিন্তু কর্কট রোগ প্রতিরোধ করার কাজে কিছুটা এগিয়ে থাকা যাবে। আসলে এই জুস পান করলে শরীরে প্রবেশ করে অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি আটকে দেওয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই নীরোগ জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে এই পানীয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন।
আরো পড়ুন: খালি পেটে তুলসী পাতা কেন খাবেন
৪. কোলেস্টেরলকে বশে রাখতে পারবেন
হাই কোলেস্টেরল একটি জটিল অসুখ। এই রোগের ফাঁদে পড়লে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। ফলে হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে স্ট্রোক এবং পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজের মতো অসুখের ফাঁদে পড়তে পারেন। তাই তো সুস্থ থাকার ইচ্ছে থাকলে হাই লিপিডিমিয়ার রোগীরা যত দ্রুত সম্ভব করলা ও উচ্ছের জুসের শরণাপন্ন হন। এতেই রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা দ্রুত গতিতে কমবে। আপনি থাকবেন সুস্থ-সবল।
৫. ত্বকের হাল ফিরতে সময় লাগবে না
ত্বকের হারিয়ে যাওয়া জেল্লা পুনরুদ্ধার করতে চাইলে রোজ খান উচ্ছে ও করলার রস। কারণ এতে মজুত থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ত্বকের উপর দারুণ কাজ করে। এমনকী এই পানীয়ের মজুত থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডার্ক সার্কেল, ব্রণ সহ একাধিক ত্বকের সমস্যার ছুটি করে দেওয়ার কাজেও ওস্তাদ।
এসি/ আই.কে.জে/