পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ৭ জুন তার বহুল আলোচিত ইরাক সফর শেষ করেন। এ সফরকে ইরাক-পাকিস্তান সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে ঐতিহাসিক হিসেবে অভিহিত করে পাকিস্তান। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ সফর থেকে পাকিস্তান তার কূটনৈতিক বিষয়ে কোনো সাহায্যই পাচ্ছে না।
কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মওকুফ, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতার প্রচারের ব্যাপারে বিভিন্ন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে দুই দেশ। এছাড়াও বাগদাদে পাকিস্তান দূতাবাস কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বিলাওয়াল উপস্থিত ছিলেন। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সফর থেকে যে সীমাহীন আশার কথা ব্যক্ত করেছিলেন, তার খুব অল্পই পূরণ হয়েছে।
সফরকালে, বিলাওয়াল দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে ইরাকের রাষ্ট্রপতি ডঃ আব্দুল লতিফ জামাল এবং প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানীর সাথে দেখা করেন। তাছাড়া তিনি ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনা করেন।
সফররত প্রতিনিধি দল পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ আল হালবৌসি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুললামির কামেল আল-শামারি সহ আরও কয়েকজন ইরাকি নেতার সাথে দেখা করেন। তারা ইরাকি চেম্বার অফ কমার্সের সাথেও বৈঠক করেন। তবে এ আলোচনা এতোটা ফলপ্রসূ হবে বলে মনে হয় না।
ইরাক দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে সমর্থন করে আসছে। বিলাওয়ালের সাথেও কাশ্মীরের ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি ইরাকের।
মূলত ইরাকের সাথে পাকিস্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গঠন হওয়া সম্ভব নয়। এর কারণ হলো পাকিস্তানে বসবাসরত শিয়াদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ। পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ শিয়া মুসলমান, অন্যদিকে ইরাকের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি শিয়া। পাকিস্তানে অত্যাচারের শিকার হওয়া শিয়াদের অবস্থা ইরাকের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
আই. কে. জে/