সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈশ্বিক শক্তি প্রতিযোগিতায় এগিয়ে চলেছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৫৬ অপরাহ্ন, ২১শে জুলাই ২০২৩

#

সম্প্রতি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) এর শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের সম্পর্কের উত্থান, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফ্রান্স সফর এবং ভূ-রাজনীতিতে ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থান প্রমাণ করে যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পাশাপাশি ভারতও একটি উদীয়মান শক্তি।

ব্রিকস, আসিয়ান, সার্ক, বিমসটেকের মতো উল্লেখযোগ্য সংস্থার সদস্য ভারত। জি-২০ এর সদস্য হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর আফ্রিকান ইউনিয়নকে অন্তর্ভুক্তিকরণ ভারত-আফ্রিকার সম্পর্ককেও উন্নত করে।

চতুর্পাক্ষিক নিরাপত্তা সংলাপ (কোয়াড) এর অংশও ভারত, যার মূল উদ্বেগ চীনকে নিয়ে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক উদ্যোগ ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফোরামেরও সদস্য রাষ্ট্র ভারত। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহে বহুপাক্ষিক ফোরামের ব্যবহার করেছে ভারত এবং মতভেদ দূরীকরণের ক্ষেত্রেও ভারতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সম্প্রতি জাকার্তায় আসিয়ানের উদ্যোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের এক ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং চীনের শীর্ষ কূটনৈতিক ওয়াং ই দুই দেশের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনা কমানোর ব্যাপারে আলোচনায় বসেন। 

জি-২০ সম্মেলনগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন, বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, সাইবার নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ইত্যাদি নানা বিষয়ে আলোচনা করে বিশ্ব রাজনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে ভারত। 

ঐতিহাসিকভাবে ভারত জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, যা সদ্য স্বাধীন হওয়া রাষ্ট্রগুলোকে নোংরা রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে বদ্ধপরিকর। ভারত বেশ কয়েকটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার সাথেও জড়িত, যা জাতিসংঘের বাইরে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। 

প্রকাশ্যে চীনের সমালোচনা করা কিংবা সীমান্তে চীনের সাথে সামরিকভাবে নিযুক্ত থাকার পরেও চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগ দেয়নি ভারত। একইভাবে রাশিয়ার সাথে নিরপেক্ষ সম্পর্ক বজায় রেখে রাশিয়ার সাথে তার সম্পর্কের ব্যাপারে পশ্চিমা সমালোচনার মোকাবেলাও করেছে ভারত। 

ক্রমবর্ধমান রাশিয়া-চীন সম্পর্কও পর্যবেক্ষণ করছে ভারত। উভয়ের মধ্যকার এ সম্পর্ক ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপরেও প্রভাব ফেলবে, কারণ ভারতের প্রতিরক্ষা সরবরাহের প্রধান উৎস রাশিয়া। নিরাপত্তার ব্যাপারে ভারত যৌথ উৎপাদনসহ পশ্চিমাদের কাছ থেকে উন্নত প্রযুক্তি ও অস্ত্র সংগ্রহের ইচ্ছা পোষণ করেছে। এর বিনিময়ে পশ্চিমা বিশ্বের দাবি হলো ভারতকে অবশ্যই রাশিয়া, ইরান এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো মেনে চলতে হবে। এখানেই ভারতের সাথে পশ্চিমা বিশ্বের মতবিরোধ দেখা যাচ্ছে। ইরান ও আফগানিস্তানের সাথে চাবাহার বন্দরে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকিকেও উপেক্ষা করে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এস৪০০ মিসাইল সিস্টেম অর্জন করেছে।

আই. কে. জে/

ভারত জি-২০

খবরটি শেয়ার করুন