রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আত্মার, রক্তের ও ভ্রাতৃত্বের : হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, ২৮শে আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আত্মার, রক্তের ও ভ্রাতৃত্বের এবং এই সম্পর্ক কখনোই ছিন্ন হওয়ার নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। 

রবিবার (২৭ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কলকাতার রোটারি সদনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন হানিফ।

এসময় তিনি বলেন, “১৯৪৭ সালে ভারত যখন দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভাগ হলো, তখন ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্র গঠন হলো। পরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামক আরেকটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সব ধর্ম, বর্ণের মানুষের দেশ গঠনের। সেই লক্ষ্যেই আমরা বাংলাদেশের মানুষ কাজ করে যাচ্ছি। এই লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু সারা জীবন লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতে এই আত্মিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পায়।”

দেশের যুদ্ধাপরাধী শক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, “৭১-এর যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। তাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানের অধীনে নিয়ে যাওয়া।” 

জিয়াউর রহমানের ব্যাপারে তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান আসলে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তিনি ছিলেন ছদ্মবেশী মুক্তিযোদ্ধা। তার কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে প্রমাণিত হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন।”

এসময় দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে হানিফ বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তার যে আন্তরিকতা বিশেষ করে, শেখ হাসিনার প্রতি তার যে মানসিকতা, আন্তরিকতা এটা আমাদের জাতিকে কৃতজ্ঞভাবে আবদ্ধ করেছে। আমরা চাই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্য দিয়ে দুই দেশ এগিয়ে যাক। আমরা চাই দুই দেশের রক্তের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হোক। আমরা উভয় দেশ একে অপরের পরিপূরক। আমরা চাই সেই রক্তের সম্পর্ক অটুট থাকুক। কারণ, দুই দেশেই আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাই সেই সম্পর্ক কখনোই ছিন্ন হওয়ার নয়।” 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, “প্রথমে শিক্ষাজীবন, পরে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি শুরু হয়েছিল এই কলকাতা থেকে। মহাত্মা গান্ধীর সাথে বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৬ সালে যে দাঙ্গা হয়েছিল, সেখানেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিলেন।” 

তিনি আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্যই ছিল একটি উন্নত দেশ গড়ে তোলা। এই উপমহাদেশকে অসাম্প্রদায়িক দেখা। ৫১ বছর বয়সে তিনি জাতির পিতা হয়েছিলেন আর ৫৩ বছরেই চলে গেলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাবার আদর্শকে সামনে রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।”

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের উপ রাষ্ট্রদূত আন্দালিব ইলিয়াস, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘের সভাপতি শিশির বাজোরিয়া, বিশিষ্ট সমাজসেবী আবু নাসের প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

এম.এস.এইচ/ আই. কে. জে/  

মাহবুবউল আলম হানিফ ভারত-বাংলাদেশ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন