সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত বিশ্বের জন্য আশার বাতিঘর: দ্রোপদী মুর্মু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:২৬ অপরাহ্ন, ১৫ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

ভারত বিশ্বের জন্য “আশার বাতিঘর” হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে এবং বিশ্ব মঞ্চে তার সঠিক স্থান ফিরে পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেন, “জি-২০ তে সভাপতিত্ব করা ভারতকে ন্যায়সঙ্গত অগ্রগতির দিকে যাওয়ার জন্য এক অনন্য সুযোগ প্রদান করেছে।”

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দেশটির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।  

এসময় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, “ভারতীয় প্রবাসী সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ এবং কথা বলার সময়, আমি তাদের কাছে ভারতের ব্যাপারে একটি নতুন আত্মবিশ্বাস লক্ষ্য করেছি। বর্তমানে ভারত পুরো বিশ্বজুড়ে উন্নয়নমূলক এবং মানবিক কর্মকান্ডের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।”

বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে ভারতের অর্থনীতির স্থিতিশীলতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “ভারতের অর্থনীতি শুধুমাত্র অস্থির সময়েই স্থিতিশীল নয় বরং অন্যদের জন্যও আশার আলোকবর্তিকা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি একটি সংকটকালীন সময় অতিক্রম করছে, কারণ করোনা মহামারী পুরো বিশ্বকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তবুও, ভারতের সরকার খুব ভালভাবে এ প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে।”

ভাষণে দ্রৌপদী মুর্মু ভারতীয় নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের উপর জোর দেন এবং এ ব্যাপারে সচেষ্ট হতে ভারতের নাগরিকদের আহ্বান জানান। এছাড়া দেশটির আদিবাসীদের আধুনিকতাকে গ্রহণ করার মাধ্যমে তাদের ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করার প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

এসময় তিনি বলেন “আমাদের প্রত্যেকের জাত, ধর্ম, ভাষা এবং অঞ্চল ছাড়াও একটি পরিচয় রয়েছে। এটি হল ভারতের নাগরিক হিসাবে আমাদের পরিচয়। আমরা প্রত্যেকেই নাগরিক হিসেবে সমান। আমাদের প্রত্যেকেরই সমান সুযোগ, সমান অধিকার এবং সমান দায়িত্ব রয়েছে।” 

তিনি আরো বলেন, “আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায় স্বাধীনতা সংগ্রামের আদর্শ রয়েছে। জাতি-নির্মাতাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের চেতনায় আমাদের  এগিয়ে যেতে হবে।”

ভাষণে দ্রৌপদী মুর্মু বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং শহর ও পাহাড়ি অঞ্চলকে আরও স্থিতিস্থাপক করার প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত প্রদান করে বলেন, “আধুনিক সভ্যতা আমাদের পৃথিবীকে প্রকৃতি থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন আমাদের শিকড়ের দিকে ফিরে যাওয়ার তীব্র প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছি।”

ভাষণে দ্রোপদী মুর্মু দেশটির আদিবাসীদের প্রশংসা করে বলেন,“তারা এখনও প্রকৃতির কাছাকাছি আছে। প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য করে তারা তাদের জীবন অতিবাহিত করছে।”

এম.এস.এইচ/

ভারত মুর্মু

খবরটি শেয়ার করুন