সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ: একটি ঐতিহাসিক যাত্রা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, ১৫ই আগস্ট ২০২৩

#

ভারতের পতাকা

স্বাধীনতা হলো একটি মানবিক অধিকার, যা যেদিকে প্রাকৃতিকভাবে মানুষের নিজের মূল্যবোধ ও স্বাধীনতার মধ্যে উত্তপ্ত হয়, তা বলা হয় সহোদর সংগ্রামের অনুভূতি। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, যা ২০শ শতাব্দীর শুরুতে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং ১৯৪৭ সালের আজকের এই দিনে ভারত স্বাধীনতার সাফল্য অর্জন করে।

স্বাধীনতা এবং মুক্তির যাত্রা সবসময় জনগণের মধ্যে নতুন আশা, আত্মবিশ্বাস এবং সাহস জেগে উঠে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের মাধ্যমে মৃত মানবিক শক্তি জাগ্রত হয়ে উঠে এবং বাঙালি জনগণ নিজেদের স্বাধীনতা ও মুক্তির পথে অগ্রসর হতে উৎসাহিত হয়।

সেসময়ের মহাত্মা গান্ধীর উদ্ভুত অহিংসা আন্দোলন একটি নৈতিক শক্তি ছিল, যা সামাজিক বিপ্লবের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে তার অদলবদলে গোষ্ঠীবদ্ধ অসংখ্য অসংগঠিত এবং সংগঠিত আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতীয় জনগণ একত্র আসে এবং স্বাধীনতা অর্জন করে। গান্ধীজির নেতৃত্বে প্রাচীন ঐতিহ্য এবং নৈতিকতা একত্র আনে এবং ভারতীয় জনগণকে স্বাধীনতা প্রাপ্তির দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহায়ক হয়।  

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের দীর্ঘ রক্ত শোষণ ও শাসন থেকে ভারত স্বাধীন হয়। এই ঐতিহাসিক ঘটনা সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীনতা প্রাপ্তির জন্যে অবদান ও বিপুল প্রশংসার দাবি রাখে। 

বাংলাদেশ, পূর্ব পাকিস্তান হওয়ার সময় একটি অধীন রাষ্ট্র ছিল। তাদের স্বাধীনতা চেতনা বৃদ্ধি পেতে দক্ষ নেতৃত্বে একটি জনগণ প্রস্তুত হতে হয়। ১৯৭১ সালে, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে নিজেদের স্বাধীনতা অর্জন করে। এই যুদ্ধ একটি ঐতিহাসিক লড়াই, যেখানে বাঙালি জনগণ নিজেদের স্বাধীনতা প্রাপ্তির জন্য অপরিসীম সংগ্রাম দেয়। ভারতের স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের মুক্তি একটি ঐতিহাসিক যাত্রা। যা মানবিক মূল্যবোধ এবং স্বাধীনতার মহান উদাহরণ। 

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি বৃদ্ধি ছিল বাঙালির ভাষা আন্দোলন, যেটি সংস্কৃতি এবং ভাষার মাধ্যমে জাতীয় অভিযান ও একতা বৃদ্ধি দেওয়ার জন্য শক্তি হিসেবে যুক্ত হয়েছিল।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা সম্পর্কে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই যুদ্ধে বাঙালি জনগণ তাদের স্বাধীনতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে একত্র আসে। এই যুদ্ধে, তাদের নিজেদের দুঃখ এবং প্রতিবাদের মাধ্যমে তাদের আত্মবিশ্বাস আসে এবং মুক্তির লক্ষ্যে অবিচলিত থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নারী ও পুরুষ সমাজের অবদান ও শক্তির প্রতীক হয়ে উঠে। এই যুদ্ধে, বাঙালি মহিলারা তাদের দৃঢ় আত্মবিশ্বাস দেখানো এবং তাদের মুক্তির লক্ষ্যে নিজেদের সংঘর্ষ জারি করেন। 

১৫ আগস্ট, ভারতের স্বাধীনতা দিবসঃ  

স্বাধীনতা দিবস হল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটি জাতীয় দিবস। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ রাজশক্তির শাসনকর্তৃত্ব থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। সেই ঘটনাটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতি বছর ১৫অগাস্ট তারিখটিকে ভারতে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। 

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রধানত অহিংস, অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সমিতির সহিংস আন্দোলনের পথে পরিচালিত এক দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। স্বাধীনতার ঠিক পূর্ব-মুহুর্তে ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত হয় এবং তার ফলে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুই রাষ্ট্রের জন্ম ঘটে। 

দেশভাগের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। অনেক মানুষ প্রাণ হারান এবং ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুহারা হন। দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান ভাগ হলেও ভারত স্বাধীনতার প্রথম দিন থেকেই তার অসাম্প্রদায়িক চরিত্র ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট জওহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পর দিল্লির লাল কেল্লার লাহোরি গেটের উপর ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তদবধি প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। এই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এবং অন্যান্য অফিস-আদালতে মিষ্টান্ন বিতরণ করা হয়। কিন্তু এটি একটি জাতীয় ছুটির দিন হওয়ার দরুন সর্বত্রই পঠনপাঠন ও কাজকর্ম বন্ধ থাকে।

এসকে/ 

ভারত ভারতের স্বাধীনতা দিবস

খবরটি শেয়ার করুন