ছবি: সংগৃহীত
কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বার শ্রী গুরু নানক দেবজির গভীর আধ্যাত্মিকতার প্রমাণ হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখানেই গুরু তার জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছেন। সারা বিশ্বের শিখদের জন্য তাই এই গুরুদ্বার তীর্থস্থানস্বরূপ।
কর্তারপুর করিডোরের উদ্বোধনের ফলে এই গুরুদ্বারেরও উন্নয়ন হবে বলে অনেকেরই ধারণা। একই সাথে এই গুরুদ্বারের প্রতি অনেকেরই মনোযোগ আকৃষ্ট হবে বলেও অনেকেই মনে করছেন। তবে যেখানে দৈনিক ৫০০০ জন ভক্তের আগমন আশা করা হচ্ছে। সেখানে দৈনিক ২০০ জন দর্শনার্থী আসছে গুরুদ্বারে।
এর কারণ হিসেবে দেখা যায়, এখানকার দর্শনার্থীদের জন্য পাকিস্তান সরকার ২০ মার্কিন ডলারের ফি নির্ধারণ করেছে, যা খুবই হতাশাজনক। ভক্তরা তীর্থস্থান ভ্রমণ এবং টাকা প্রদান এই দুটানাতেই ভুগেন।
তবে কর্তারপুর সাহিব ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন না হলেও পাসপোর্ট এবং পারমিটের প্রয়োজন রয়েছে। ভারতের অধিকাংশ মানুষেরই পাসপোর্ট নেই। অন্যদিকে যাদের পাসপোর্ট রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই পাকিস্তান ভ্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন। একজনের পাসপোর্টে পাকিস্তানি স্ট্যাম্প থাকলে ভবিষ্যতে তার জন্যে অন্য অনেক দেশের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়। ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের ফলে অনেকেই এ তীর্থ ভ্রমণের সুযোগ পান না।
আর.এইচ
খবরটি শেয়ার করুন