শুক্রবার, ৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কলকাতায় পাঁচ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড *** নির্বাচনে সহায়তা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্রিফ করল জাতিসংঘ *** কাফু–ক্যানিজিয়ার সঙ্গে ঢাকায় নৈশভোজের সুযোগ *** নতুন গণমাধ্যম নীতি নিয়ে আপত্তি, পেন্টাগনের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক টাইমসের মামলা *** প্রধান উপদেষ্টাকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর ফোন, বন্যায় সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা *** খালেদা জিয়াকে নিয়ে নির্মিত সরকারি ডকুমেন্টারি প্রকাশ *** একটি মানবশিশুকে যেভাবে পাহারা দিলো চারটি কুকুর *** অনিবার্য কারণ ছাড়া বিএনপি নির্বাচনি মাঠে থাকবে: নজরুল ইসলাম খান *** নিবন্ধন পাচ্ছে ‘আমজনতার দল’, প্রতীকের বিষয়ে যা জানা গেল *** এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হতে পারে, জুবাইদা রহমান ঢাকায় আসছেন

মানব পাচারকারীদের তৎপরতা কঠোর হাতে বন্ধ করতে হবে

সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০১:১০ অপরাহ্ন, ২২শে জুলাই ২০২৩

#

কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না মানব পাচার বা পাচারকারীদের তৎপরতা। সর্বশেষ জানা যায়, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার ১৩ যুবক দালালের খপ্পরে পড়ে লিবিয়ায় গিয়ে ১৫ মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তারা প্রত্যেকে স্থানীয় দালালদের ৭ লাখ করে টাকা দিয়ে গত বছরের ২০ মার্চ লিবিয়ায় পাড়ি জমান। এর কিছুদিন পর ভালো বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ইতালি পাঠানোর কথা বলে ওই যুবকদের অভিভাবকদের কাছ থেকে দ্বিতীয়বার টাকা আদায় করে দালালরা।

এরপর তারা নতুন করে টাকা চাইলে এবং অভিভাবকরা তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে যুবকদের মারধরের ভিডিও পাঠিয়ে তাদের বিক্রি করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এখন বিদেশে তাদের কোনো খোঁজ মিলছে না। বিষয়টি উদ্বেগজনক। এ নিয়ে নেত্রকোনা মানব পাচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে।

প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অন্তত ১০ লাখ মানুষ বিদেশ যান, যাদের মধ্যে অনেকেই পাচারকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়ে জোরপূর্বক শ্রম, যৌন শোষণ, ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়েসহ আধুনিক দাসত্বের শিকার হচ্ছেন। মূলত দেশের বিভিন্ন এলাকার সহজ-সরল মানুষকে দালাল চক্রগুলো মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করার পর বিদেশে পাচার করে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতারণা, নির্যাতন, অপহরণ ইত্যাদি যেন সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। মানব পাচার রোধে দেশে আইন রয়েছে।

২০১২ সালের ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে’ সংঘবদ্ধভাবে মানব পাচারের জন্য মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সর্বনিম্ন ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং অন্যূন পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ আইনে বিচারের জন্য ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, এরপরও অবৈধ মানব পাচার বন্ধ হচ্ছে না কেন? প্রথমত, কিছু মানুষের লোভ ও নির্বুদ্ধিতা এজন্য দায়ী।

বিদেশ গমনেচ্ছুরা বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির বদলে অবৈধ দালাল চক্রের আশ্রয় নেওয়ায় এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এ ব্যাপারে সবার সচেতন ও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রতারক দালাল চক্রগুলোর মূলোৎপাটন করতে হবে। দেশের কোনো নাগরিক যাতে পাচারের মতো দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির শিকার না হন, সেজন্য সরকারসহ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

আই. কে. জে/ 

মানব পাচারকারী তৎপরতা বন্ধ করতে হবে

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250