বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** জুলাই সনদ আইনের ঊর্ধ্বে: সালাহউদ্দিন আহমদ *** ইসিতে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিল বিএনপি-জামায়াতসহ ২৯ দল *** সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পর্তুগাল *** রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে উভয় কক্ষের সদস্যদের গোপন ভোটে *** ১৮৫ বছরের পুরোনো বুনো মহিষের শিং পাহাড়পুর জাদুঘরে হস্তান্তর *** প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত *** শিক্ষকের বিকল্প হবে চ্যাটজিপিটি *** শক্তি ও মালিকানা যার হাতে, তাকেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে: মির্জা ফখরুল *** পিআর পদ্ধতিতে হবে ১০০ সংসদীয় আসনের উচ্চকক্ষ, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত *** কিছু দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা

মানসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:৩৯ অপরাহ্ন, ১০ই অক্টোবর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে দিবসটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে- মানসিক স্বাস্থ্য সার্বজনীন মানবাধিকার। 

সংস্থাটির মতে, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী সাত লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে। তবে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ব্যক্তির সংখ্যা তার চেয়েও বেশি। 

সারাবিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই দিবস পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মানসিক স্বাস্থ্য মানবতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যা আমাদের জীবনকে পরিপূর্ণ করার এবং সমাজে পরিপূর্ণভাবে অবদান রাখার সুযোগ করে দেয়। তা সত্ত্বেও সারা বিশ্বে প্রতি আট জনের মধ্যে একজন মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা নিয়ে বেঁচে আছেন। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে এমন মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বাণীতে বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী ও তরুণরা। মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত চার জনের মধ্যে তিন জনই পর্যাপ্ত চিকিৎসা পান না অথবা কোনও সেবাই পান না। আবার অনেকে অসম্মান ও বৈষম্যের সম্মুখীন হন। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষ অধিকার নয়, বরং মৌলিক মানবাধিকার এবং অবশ্যই সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতার অংশ হতে হবে। সব সরকারকে অবশ্যই এমন সেবা প্রদান করতে হবে যা মানুষের সুস্থ হয়ে ওঠায় সহায়ক হয় এবং তাদের অধিকার সমুন্নত রাখে। এর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি-ভিত্তিক সহায়তা জোরদার করা এবং বৃহত্তর স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবায় মনস্তাত্ত্বিক সহায়তাকে অন্তর্ভুক্ত করা।

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, একইসঙ্গে আমাদের অবশ্যই নিগ্রহ মোকাবিলা করতে হবে এবং সেই সব বাধা ভেঙে ফেলতে হবে যা লোকজনকে সহায়তা চাইতে বাধা দেয়। আমাদের অবশ্যই মানসিক সমস্যার মূল কারণ, যেমন দারিদ্র্য, অসমতা, সহিংসতা, বৈষম্য– মোকাবিলা করতে হবে। আরও সহানুভূতিশীল ও স্থিতিস্থাপক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে এবং প্রতিদিন, আসুন আমরা মানসিক স্বাস্থ্যকে একটি সর্বজনীন মানবাধিকার হিসেবে পুনরায় নিশ্চিত করি ও সমুন্নত রাখি। আমরা একসঙ্গে একটি স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ে তুলি যেখানে প্রত্যেকে সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে।

এসকে/ 

জাতিসংঘ ডব্লিউএইচও মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন