সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্কিন কংগ্রেসের আলোচনায় পাকিস্তানের রাজনীতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:০৬ অপরাহ্ন, ২রা মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

গত শুক্রবার রাতে, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরিষদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র সদস্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক দেশের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান।

শনিবারে, কংগ্রেসকর্মী ব্র‍্যাড শেরম্যান, যিনি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ১৩তম বারের মতো হাউসের সদস্য হয়ে রেকর্ড গড়েছেন এবং ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে রয়েছেন, তিনি তার অফিশিয়াল টুইটার একাউন্টেও তার বক্তব্য রাখেন।

প্রথমবারের মতো মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে বর্তমান রাজনৈতিক বিরোধ উত্থাপন করে তিনি পাকিস্তান সম্পর্কে তার বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি দেশটির আস্থা।

মার্কিন আইনপ্রণেতা স্বীকার করেন যে, ইমরান খান গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তার সরকার পতনের জন্য দায়ী করেন। যদিও পরবর্তীতে তিনি তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। তবে তিনি পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের মতো নমনীয় ছিলেন না।

এ বিষয়ে শেরম্যান বলেন, ইমরান খানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভালো না থাকলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শরীফ তেমন নন। কিন্তু এখানে মুখ্য বিষয় হলো গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন। এপ্রিলের শুরুর দিকে, শেরম্যান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি লিখে বলেন, কথিত অভিযোগ সম্পর্কে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করার জন্য বলতে।

আরো পড়ুন: ভুল আদমশুমারির প্রতিবাদে পাকিস্তানে বিক্ষোভ

দুই সপ্তাহ আগে ইমরান খানের সাথে ফোনালাপের পর তিনি জানান যে খান তাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নন। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে খানের পক্ষে কোন প্রচারণা চালাচ্ছেন না। তিনি শুধুমাত্র গণতন্ত্রকে সমর্থন করছেন।

তবে পাকিস্তানি আমেরিকান সম্প্রদায়ের পিটিআই সমর্থকদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে শেরম্যানের। তারা গত সপ্তাহে পাকিস্তানে গণতন্ত্রকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে ৯২ জন বিধায়কের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে একটি চিঠি পাঠান ব্লিঙ্কেনকে।

রাষ্ট্রদূত জালমে খলিলজাদ, তালেবানদের সাথে মার্কিন চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তিনি পাঞ্জাবের নির্বাচনের জন্য এসসি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পাকিস্তান সরকারকে অনুরোধ করেন।

শেরম্যানও তার বক্তৃতায় এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি জানান, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে প্রথমে পাঞ্জাব এবং পরবর্তীতে অন্য প্রদেশে প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী অক্টোবরে পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবং পাকিস্তানের জন্য এই মুহূর্তে একটি সুষ্ঠু, বৈধ নির্বাচন হওয়াটা জরুরি।


এমএইচডি/আইকেজে 

মার্কিন কংগ্রেস পাকিস্তান রাজনীতি

খবরটি শেয়ার করুন