সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শোকাবহ আগস্ট: বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের কাহিনী

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, ১৫ই আগস্ট ২০২৩

#

প্রতীকী ছবি

দিনটা অন্যরকমভাবে শুরু হতে পারলেও হয়নি। কত পরিকল্পনা ছিল এই দিনটাকে ঘিরে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ তম সমাবর্তন। কিন্তু কে জানতো এই দিনেই বাঙালি জাতির জনককে হত্যা করা হবে। শুধু কি জাতির জনককে হত্যা করেই ক্ষান্ত হওয়া? না ঘাতকরা শুধু তাঁকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হতে চায়নি। তাই তো সপরিবারে হত্যা করেছিল বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। 

কেন তাঁকে হত্যা করা হলো? এই প্রশ্নের উত্তর বোধ হয় আজও আমাদের অজানা। নানাজন নানা উত্তর দেন। কিন্তু এই হত্যার নেপথ্যে লুকিয়ে আছে অনেক কাহিনী। এসব কাহিনী উদঘাটন করা এতটাও সহজ নয়। কয়েকটি ঘটনার আলোকে আমরা এব্যাপারে একটি অনুমান দাড় করাতে পারি। 

এজন্যে প্রথমেই আমাদের ফিরে যেতে হবে বাংলার নবাবী শাসনামলে। ১৭৫৬ সালে বাংলার মসনদে আরোহণ করেন নবাব সিরাজ উদ দৌলা। তাঁর এই অভিষেককে অনেকেই ভালোভাবে মানতে পারেনি। এই মানতে না পারা লোকজনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল এ দেশের ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। তৎকালীন সময়ে এ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জগৎশেঠ ও উমিচাঁদ।  সিরাজ উদ দৌলার কার্যকলাপ যখন ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আঘাত হানতে শুরু করে তখনই তারা তাঁকে সরানোর পরিকল্পনা শুরু করে।

এক্ষেত্রে সুযোগ নেয় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। কেননা সিরাজ উদ দৌলার কার্যকলাপ তাদেরও স্বার্থ পরিপন্থী ছিল। একা ইংরেজদের পক্ষে কখনোই সম্ভব ছিল না তাঁকে পরাজিত করা। এদেশীয় বণিক সম্প্রদায় এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির যৌথ পরিকল্পনার ফলেই তারা সিরাজ উদ দৌলাকে পরাজিত করতে পেরেছিল। 

এক্ষেত্রে এ দেশীয় বণিক গোষ্ঠী এবং ইংরেজ বণিক গোষ্ঠী প্রথমেই নবাবের জনপ্রিয়তা কমানোর দিকে নজর দেয়। আর এজন্য পুঁজিবাদী গোষ্ঠী তাদের তত্ত্বের প্রয়োগ ঘটাতে শুরু করলো। বিশাল পরিমাণ পণ্য মজুদ করে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে লাগলো তারা। 

এতে সাধারণ মানুষ পড়লো ভোগান্তিতে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জন্য তারা নবাবকে দায়ী করলো। বর্তমানে আমরা যেমনটা দেখছি৷ দ্রব্যমূ্ল্যের উর্ধ্বগতির জন্য আমরা যতটা না ব্যবসায়ীদের দোষ দেই তার চেয়ে বেশি দোষ দেই সরকারকে। এভাবে সিরাজ উদ দৌলার জনপ্রিয়তাকে নষ্ট করে তাঁকে জনগণের সামনে দোষীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেয় বণিকগোষ্ঠী। আর একারণেই তারা পরাজিত নবাবকে লাখ লাখ মানুষের সামনে দিয়ে কারাগারে নিয়ে যেতে পেড়েছে। 

এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেখতে পাই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী৷ যে কারণে পাকিস্তানিরাও তাকে হত্যা করতে পারেনি বা এমনটা করার সাহস করেনি। যারা তাঁকে হত্যা করেছিল তাদের মধ্যে কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান ও কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ গণমাধ্যমে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তা থেকে বোঝা যায় তৎকালীন বাংলাদেশে শেখ মুজিবের জনপ্রিয়তা ছিল অনেক বেশি। তারা বলেন যে, তারা দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। তারা শেখ মুজিবকে এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের পূর্ব পরিকল্পনা জানান নি কারণ, তাদের মতে শেখ মুজিব সাধারণ জনগণকে নিয়ন্ত্রণে পারদর্শী হওয়ার কারণে এ পরিকল্পনা জানলে শেখ মুজিব তার নিজ রাজনৈতিক স্বার্থে এমন কোন ব্যবস্থা নিতেন যার ফলে তারা নিজেরা আক্রান্ত হতেন। তাই দেশের রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের জন্য তারা শেখ মুজিবকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। 

কিন্তু কি এমন ঘটলো যে কারণে তাঁকে হত্যা করতে হলো? এ প্রশ্নের আংশিক উত্তর আমরা পাই নারায়ণ ঘোষ মিতার আলোর মিছিল চলচ্চিত্রে। চলচ্চিত্রে যে বাস্তব জীবনের প্রতিফলন ঘটে তা এ চলচ্চিত্রটি না দেখলে বোঝা যাবে না। ১৯৭৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ চলচ্চিত্রে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের আংশিক চিত্রায়ন করা হয়েছে৷ 

হ্যা, এখানেও আমরা দেখতে পাই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর স্বার্থ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ দেশের কতিপয় ব্যবসায়ী মানুষকে নানাভাবে নিপীড়িত ও বঞ্চিত করতে শুরু করে। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে তারা পণ্য মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে থাকে। এব্যাপারে যখন জাতির জনক হস্তক্ষেপ করলেন তখনই বাঁধলো বিপত্তি। 

এটা কেবল একটা দিক। এ দেশ স্বাধীন হোক এটা এ দেশেরও কিছু পাকিস্তানপন্থী মানুষ চায়নি। তারাও চাচ্ছিল শেখ মুজিবকে সরাতে।  আর পাকিস্তান, আমেরিকা ও চীনের মতো দেশের ষড়যন্ত্রকারীরা তো ছিলই। এখানেও সেই একই নীতির প্রয়োগ ঘটানো হলো। প্রথমে শেখ মুজিবের জনপ্রিয়তা কমানো হলো। আর এজন্য পণ্য মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হলো,  বঙ্গবন্ধুর বাকশাল নিয়ে মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছানো হলো, তাঁর ছেলে শেখ কামালকে নিয়ে রটনা করা হলো মিথ্যা ব্যাংক ডাকাতি ও মেজর ডালিমের স্ত্রী অপহরণের কাহিনী। তারপর সেনাবাহিনীর কতিপয় জুনিয়র অফিসারকে ব্যবহার করে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করা হলো। 

পণ্য মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকটের চিত্রায়ন আমরা নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ চলচ্চিত্রের কাহিনীতে দেখতে পাই। আর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে বাকশাল যে কতটা প্রয়োজন ছিল তা একটু সূক্ষ্ম বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করলেই আমরা বুঝতে পারি। বঙ্গবন্ধু ৪ টি পত্রিকা রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিয়েছিলেন এটার যৌক্তিকতা আজ আমাদের আশেপাশে তাকালেই দেখতে পাই। এখন পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশন মিডিয়ার সংখ্যা অনেক। কিন্তু হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া অধিকাংশগুলোতে সংবাদ প্রচারের আড়ালে চলছে চাঁদাবাজি। যেমনটা আমরা দেখতে পাই হেলেনা জাহাঙ্গীরের ক্ষেত্রে৷ জয়যাত্রা টেলিভিশন খুলে সেটির আড়ালে বিজ্ঞাপনের নামে করতেন চাঁদাবাজি।

এছাড়া এত এত গণমাধ্যমে যখন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলো বিজ্ঞাপন দেয় তখন বিজ্ঞাপনের ব্যয় তোলার জন্য তারা পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকতা করেছিলেন বলেই এই বিষয়গুলো অনুধাবন করতে পেরেছিল। যদি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে গণমাধ্যম বর্তমান সময়ের মতো এত বেশি হতো তাহলে ক্ষতি ছাড়া লাভ হতো না। 

এবার আসা যাক রাজনৈতিক দলের সংখ্যায়। তৎকালীন বাংলাদেশে তখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং জাতীয় লীগসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ছিল। এই দলগুলো চলার জন্য যে অর্থ প্রয়োজন তা মূলত ব্যবসায়ীদের থেকেই আসতো। বর্তমান সময়েও যেমনটা হচ্ছে। যখন ব্যবসায়ীরা কোন রাজনৈতিক দলকে অর্থায়ন করবে তখন তারা নিশ্চয়ই এমনি এমনি করবে না৷ তাদের কোনো না কোনো স্বার্থ এর সাথে জড়িয়ে থাকবে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটা হয় জনস্বার্থ বিরোধী স্বার্থ। আর ব্যবসায়ী গোষ্ঠী যত টাকা যে জায়গাতেই খরচ করুক তারা পণ্য অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করেও সেটা তুলবেই। অর্থাৎ যত বেশি রাজনৈতিক দল তত বেশি সাধারণ মানুষকে পরোক্ষভাবে শোষণ৷ 

এছাড়া আরেকটি বিষয় হলো রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বিদেশী কূটনীতিকদের সম্পর্ক। বিদেশী কূটনীতিকরা বরাবরই নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যবহার করেন। তারা চান যারা তাদের যত বেশি সুবিধা দেবে তারাই ক্ষমতা আসবে এবং এজন্য তারা তৎপরতাও চালান। যেমনটা আমরা বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি। মার্কিন ও পশ্চিমাদের আচরণ থেকে এটা স্পষ্ট যে তারা আর চাচ্ছে না আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক। কেননা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও সেন্ট মার্টিন ইস্যুতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে তারা আশানুরূপ কূটনৈতিক সহায়তা পায়নি। হয়তো সেরকম কোনো আশা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল দিয়েছে। এজন্য তারা গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে দেশের চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করছে। অথচ ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, কোন দেশ অপর দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বা সমালোচনা করতে পারে না।

যাই হোক তৎকালীন প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন চায়নি বাংলাদেশ স্বাধীন হোক। চীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছিল ১৯৭৫ সালের ৩১শে আগস্ট। তবে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অনেকটা বাধ্য হয়েই স্বীকৃতি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কেননা সে সময় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল একারণে যে তারা চাচ্ছিল বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক ও পুঁজিবাদী রাষ্ট্র হোক। অপরদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন চাচ্ছিল বাংলাদেশ হবে একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। যাই হোক বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ এর সংবিধানের ৪ টি মূলনীতিতে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র দুটোকেই অন্তর্ভূক্ত করেছিলেন। 

কিন্তু বিপত্তি বাঁধলো ১৯৭৫ সালে। বঙ্গবন্ধু তৎকালীন প্রেক্ষাপটে বুঝতে পেরেছিলেন দেশে এত বেশি রাজনৈতিক দল বিভক্ত অবস্থায় থাকলে বিদেশী কূটনীতিকরা সুবিধা নিবে। ফলে দেশের অগগ্রতি বাধাগ্রস্ত হবে। এছাড়া সংবিধানে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র থাকলেও তৎকালীন বাংলাদেশ তখন পুঁজিবাদের দিকেই বেশি ঝুঁকে পড়ছিল। কেননা তৎকালীন প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীরা পণ্যের মজুতকরণ করে অধিক মুনাফা অর্জনে বেশি তৎপর ছিল।

এই সবগুলো বিষয় থেকেই আমরা বুঝতে পারি যে বিদেশীরা যাতে বাংলাদেশকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে এবং পুঁজিবাদের কালো হাত যাতে বাংলাদেশে থাবা বসাতে না পারে সেজন্যই বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলেন। তৎকালীন বাংলাদেশে দেশকে এগিয়ে নিতে এর চাইতে ভালো কোন পন্থাও ছিল না। আর এ পন্থা অবলম্বন করে বঙ্গবন্ধু হয়ে গেলেন ব্যবসায়ী, কতিপয় রাজনীতিবিদ এবং পুঁজিবাদী মার্কিন ও পশ্চিমাদের শত্রু৷ 

সবমিলিয়ে বলতে গেলে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু যে পরিকল্পনা করেছিলেন তা দেশের জনগণের জন্য সঠিক ছিল। তবে কতিপয় ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিদেশী গোষ্ঠীর স্বার্থে তা আঘাত করেছিল। 

আমরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সামনের ঘটনা জানি কিন্তু এর পেছনের ঘটনা জানি না। কেবল কতিপয় জুনিয়র আর্মি অফিসার এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে এটা অসম্ভব ব্যাপার। তারা শেখ মুজিবকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার একটা অংশ ছিল মাত্র। এর পেছনে দেশী-বিদেশী আরো ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী ছিল। 

সবকিছুকে মিলিয়ে এখানে আমরা একটা অনুমান দাড় করাতে পারি। তৎকালীন বাংলাদেশে শেখ মুজিবুর রহমানের সিদ্ধান্তগুলো কতিপয় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এবং  পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি গিয়েছিল। তাই তাঁকে হত্যার পেছনে যে এ গোষ্ঠীগুলোর হাত ছিল তা অনেকটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। 

বর্তমান বাংলাদেশেও আমরা একই চিত্র দেখতে পাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু তনয়া যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন একটা গোষ্ঠী তাঁর জনপ্রিয়তাকে কমাতে বর্তমান বাংলাদেশে সিন্ডিকেট বাণিজ্য করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়ে তার জনপ্রিয়তাকে কমানোর চেষ্টা করছে। সিরাজ উদ দৌলাকে ক্ষমতাচ্যুত করে হত্যা ও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে তাঁদের দুজনেরই জনপ্রিয়তা কমানো হয়েছিল। আর এটার পিছনে হাত ছিল ব্যবসায়ী ও বিদেশী গোষ্ঠীর৷ এখন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমাতে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী এবং কতিপয় বিদেশী কুটনীতিকরা উঠে পড়ে  লেগেছে। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক পণ্য মজুদ করে জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। আর বিদেশী কূটনীতিকরা করছে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সমালোচনা। নির্বাচনের আগের বছর এমন ঘটনা যে জাতির জন্য অশনিসংকেত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ আর যেন নতুন করে কোনো সফল রাষ্ট্রনায়ক না হারায় বাংলাদেশ। আর কোনো শোকাবহ দিন বাংলাদেশ দেখতে চায় না।

এম.এস.এইচ/

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

খবরটি শেয়ার করুন