বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনে ৩ মাস প্রবেশ করা যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৬:০২ অপরাহ্ন, ৩১শে মে ২০২৩

#

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

মাছ ও বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি, বিচরণ এবং প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে তিন মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবনে প্রবেশাধিকার। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পর্যটক প্রবেশ ও সাধারণ মানুষের চলাচলসহ নদী-খালে মাছ শিকারও বন্ধ থাকবে।

সুন্দরবন মৎস্য সম্পদের ভাণ্ডার নামে পরিচিত। তাই মাছের প্রজনন ও বন্যপ্রাণী বংশবৃদ্ধি নির্বিঘ্ন করতে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান, পর্যটকবাহী লঞ্চ-জালিবোটসহ সব ধরনের জেলে বাওয়ালি বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ২০ মে থেকে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছে। এ নির্দেশনা থাকবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত। এ ছাড়া ১ জুন থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে ঢুকতে পারবেন না কোনো পর্যটকও। ওই সময়ের মধ্যে কোনো নৌযানও প্রবেশ করতে পারবে না সুন্দরবনসহ কোনো পর্যটক স্পটে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, এখন সুন্দরবনে ২৫১ প্রজাতির মাছের প্রজনন মওসুম। তাই বন বিভাগ থেকে জেলেদের জন্য সব ধরনের পাস পারমিট বন্ধ রাখা হয়েছে। বনের নদী ও খালে নৌযান চলাচল করলে মাছের ডিম ছাড়তে সমস্যা হবে। তাই সব ধরনের নৌযান চলাচলও বন্ধ থাকবে।

তিনি জানান, বনে ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ৩৫ প্রকারের সরীসৃপ, ৪২ প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এসব বণ্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে—বাঘ, হরিণ, শুকর, বানর, কুমির, ডলফিন, ভোদড়, বনবিড়াল ও মেছোবাঘ। এখন তাদের প্রজনন মওসুম চলছে। এ জন্যই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বন, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তর।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে পর্যটকদের জন্য দেশের একমাত্র বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র করমজল, পর্যটক স্পট হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, হিরোন পয়েন্ট, নীল কমল, দুবলা, আলোর কোল, টাইগার পয়েন্ট কলাগাছিয়াসহ ১১টি স্পটে বন্ধ হচ্ছে পর্যটক প্রবেশ।

এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক বলে মনে করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বাগেরহাট জেলা শাখার আহ্বায়ক নুর আলম শেখের। তিনি বলেন, বন সংলগ্ন পশুর নদে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ও দেশীয় লাইটার চলাচল স্বাভাবিক রেখে শুধু পর্যটক বহনকারী লঞ্চ ও জেলে–বাওয়ালিদের নৌকা-ট্রলার বন্ধ করে প্রজননের কোনো লাভ হবে না।

আরো পড়ুন: ভিসা যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব বিষয়, বন্দুকের নলে ভোট হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

তিনি বলেন, নদী ও খালে নৌযান বা পর্যটকরা বনের অভ্যন্তরে চলাচলের সময় শব্দ করলে প্রজনন বিঘ্নিত হবে। তাই নৌকা বা ট্রলার নিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু জাহাজ ও লাইটার চলাচল করলে একই শব্দ হবে। তাহলে প্রজনন তো বিঘ্নিত হচ্ছেই।

বাপার এ নেতার অভিযোগ, বনের নিষিদ্ধ খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করে স্থানীয় কিছু লোক। আর ওইসব ব্যক্তিদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে বনের অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী।

এম/


 

Important Urgent

খবরটি শেয়ার করুন