ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে হীরা বাণিজ্যের আধিপত্য বিস্তারের প্রত্যাশায় গুজরাটের সুরাটে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিস গড়ে তুলেছে ভারত। ফলে আমেরিকার ভার্জিনিয়াতে পেন্টাগন বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিসের তকমা হারাতে যাচ্ছে।
সুরাট ডায়মন্ড বুর্স নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩২ বিলিয়ন রুপি বা ৩৮৪ মিলিয়ন ডলার। এটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় গত জুলাই মাসে। অফিসটি ৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন বর্গফুট (৬ লাখ ২০ হাজার বর্গমিটার) এলাকা জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে এটিই হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম অফিস কমপ্লেক্স, যা ছাড়িয়ে গেছে পেন্টাগনকেও। আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর) গুজরাটে অবস্থিত সুবিশাল অফিস কমপ্লেক্স সুরাট ডায়মন্ড বুর্স আনুষ্ঠানিকভাবে খোলা হবে।
নতুন কমপ্লেক্সটি ডায়মন্ড রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেন্টাইল সিটির অভ্যন্তরে অবস্থিত। এখানে ৯টি ১৫ তলা টাওয়ার রয়েছে এবং প্রায় ৪ হাজার ৭০০টি অফিস রয়েছে। সুরাট ডায়মন্ড বোর্সের সভাপতি নাগজিভাই সাকারিয়ার মতে, প্রায় ১৩৯টি অফিস ইতোমধ্যেই সচল রয়েছে।
আরো পড়ুন: রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে খাবারের ছবি পোস্ট করায় বিল হল ৪ লক্ষ টাকা
এই কমপ্লেক্সটি উদ্ধোধন করবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যা কি না তার নিজ রাজ্যে মোদির আরেকটির রাজনৈতিক প্রতীকী জয় হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। কেননা, আগামী বছরের নির্বাচনে তৃতীয় মেয়াদে আবারো ক্ষমতা আসতে সর্মথন প্রয়োজন মোদির।
তাছাড়া গুজরাটকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে মোদি প্রসাশনের যে প্রচেষ্টা রয়েছে, তারও একটি বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে সুরাট ডায়মন্ড বুর্স।
যদিও দীর্ঘদিন ধরে ভারতের হীরা রফতানির কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত মুম্বাই, তবুও ‘ডায়মন্ট সিটি’ নামে পরিচিত সুরাট মূল্যবান এই রত্নগুলোর প্রক্রিয়াকরণের ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে। কেননা, এখানেই বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ আনকাট হীরা কেটে পালিশ করা হয়। তারপর তা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো দেশগুলোতে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়। আর এই শিল্পকে একই ছাদের নিচে কেন্দ্রীভূত করার লক্ষ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে সুরাট ডায়মন্ড বুর্স।
সূত্র: ব্লমবার্গ
এইচআ/ আই.কে.জে/