প্রতীকী ছবি
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারিমে বান্দাকে উত্তম স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান লাভের দোয়া শিখিয়েছেন। যেসব স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান একে অন্যের চোখকে শীতল করবে।
যেহেতু দোয়ার মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ রয়েছে, তাই আমাদের উচিত সর্বদা দোয়া করে আল্লাহর কাছে চাওয়া এবং সেই অনুযায়ী আমল করা।
আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের পরিচয়ে অনেক গুণাগুণের কথা পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম হলো- তারা পুণ্যবান স্ত্রী ও সন্তান লাভের জন্য দোয়া করেন।
এক. কুরআনে বর্ণিত দোয়াটি শিখিয়ে মহান আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন-
আরবী: رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
বাংলা উচ্চারণ: রব্বানা-হাবলানা-মিন আয্ওয়া-জ্বিনা-ওয়া যুররিইয়্যা-তিনা-কুররতা আ’ইয়ুনিঁও ওয়া জ‘আল্না-লিল মুত্তাকী-না ইমা-মা।
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দিন।’ (সূরা ফোরকান : ৭৪)।
দুই. আল্লাহর নবী ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর কাছে নেক সন্তানের জন্য দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর দোয়া কবুল করেন। দোয়াটি ছিল এ রকম—‘রাব্বি হাবলি মিনাস সলিহিন।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে এক সুপুত্র দান করুন।’ (সুরা সাফফাত: ১০০)।
তিন. জাকারিয়া (আ.) নিঃসন্তান ছিলেন। মারইয়াম (আ.) বায়তুল মোকাদ্দাসে জাকারিয়া (আ.)-এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। একদিন তিনি দেখলেন, আল্লাহ তাআলা মৌসুম ছাড়াই মারইয়াম (আ.)-কে ফল দান করেছেন। তখন তাঁর মনে সন্তান লাভের আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠল। তিনি আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন—
উচ্চারণ: ‘রব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা জুররিয়্যাতান ত্বয়্যিবাতান, ইন্নাকা সামিউদ দোয়া’
অর্থ : ‘হে আমার রব! আমাকে আপনার পক্ষ থেকে উত্তম সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী (সূরা : আল-ইমরান : আয়াত ৩৮)।
আরো পড়ুন: যে দোয়া পড়লে দ্রুত বিয়ে হবে
এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/