সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীকে কাঁধে নিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতা

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ০৩:৪২ অপরাহ্ন, ২৮শে আগস্ট ২০২৩

#

অনেক ধরনের দৌড়ের কথাই তো শুনেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যতিক্রমধর্মী দৌড়ের আয়োজন করা হলেও, এবার তার চেয়ে ভিন্নধর্মী, স্ত্রীকে কাঁধে দৌড় প্রতিযোগিতা। এমনি এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করল হাঙ্গেরি। স্ত্রীদের কাঁধে নিয়ে দৌড়েছেন ১৫ জন স্বামী। পাড়ি দিয়েছেন ২৬০ মিটার বন্ধুর পথ। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন লিথুয়ানিয়ার এক দম্পতি। 

জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যতিক্রমী ও উদ্ভট এই দৌড় প্রতিযোগিতার নাম ওয়াইফ ক্যারিং রেস। যেখানে নিয়ম হচ্ছে, বউকে কাঁধে নিয়ে দৌড়াতে হবে নির্দিষ্ট পথ।

চতুর্থবারের মতো হাঙ্গেরিতে আয়োজন করা হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। ১৫ দম্পতিকে ২৬০ মিটার পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। তীব্র গরমে যেখানে ছিল কর্দমাক্ত পথসহ নানা বাধা-বিপত্তিও। একের পর এক প্রতিবন্ধকতা পাড়ি দেওয়ার এই প্রতিযোগিতা যেন দুজনের বন্ধনকে আরও দৃঢ় ও মজবুত করেছে! বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নগদ অর্থ ও মেডেল।

অনুভূতি জানতে চাইলে খেলার বিজয়ী ভিতাউরাস কিরক্লয়াউস্কাস বলেন, অসাধারণ অনুভূতি। আশা করিনি জিতব। এখানে অনেক প্রতিযোগী ছিল, তারা বেশ শক্তিশালীও। আমার স্ত্রীর জন্যই পেরেছি। সে পারফেক্ট। তাকে ছাড়া এটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। এখানে স্ত্রীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্বামীর পিঠকে খুব শক্ত করে ধরে রাখা। কারণ তিনি বাধার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তিনি লাফাচ্ছেন, তাকে শক্ত করে ধরে রাখতে হবে।

অবশ্য বিশ্বজুড়ে আরও বেশ কয়েকটি দেশেই দেখা যায় অভিনব এই আয়োজন। আয়োজকদের দাবি, বাকিদের চেয়ে হাঙ্গেরির এই প্রতিযোগিতা বেশ চ্যালেঞ্জিং।

প্রসঙ্গত, স্ত্রীকে কাঁধে নিয়ে স্বামীর এমন দৌড় প্রতিযোগিতার গোড়াপত্তন হয়েছিল ভাইকিংদের (নবম থেকে একাদশ শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত) সময়ে। আধুনিক যুগে এসে গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে ফিনল্যান্ডে নতুন করে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন শুরু হয়। ইউরোপের আরেক দেশ এস্তোনিয়াতেও এই প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়। তবে সেখানকার প্রতিযোগীদের জন্য নিয়মটা একটু ভিন্ন। এস্তোনিয়ায় প্রতিযোগিতার নিয়ম হলো স্ত্রী স্বামীর পিঠে ঝুললেও মাথা থাকে মাটির দিকে আর পা থাকে ওপরের দিকে।

ওআ/


স্ত্রী দৌড় প্রতিযোগিতা

খবরটি শেয়ার করুন