ছবি-সংগৃহীত
প্রত্যেক সম্পর্কে ভালোবাসা যেমন থাকে তেমনি মান-অভিমানও থাকে। সব মিলিয়েই একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। আর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এই টক-ঝাল-মিষ্টি সম্পর্ক যে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে ঝগড়া যেন এমন পরিস্থিতিতে চলে না যায়, যাতে আপনার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে।
কীভাবে রাগ গলাবেন
প্রত্যেকেরই একটা মেল্টিং পয়েন্ট থাকে। কেউ যদি প্রচণ্ড রেগেও থাকে, তবে তার রাগ কমানোর উপায়ও থাকে। আপনি তা মনে করার চেষ্টা করুন। যদি কোনো ভুল করে থাকেন যা আপনার স্ত্রীকে রাগিয়ে দিতে পারে, তাহলে আগে থেকেই তার কাছে দোষ স্বীকার করে নিন। ক্ষমা চেয়ে নিন। আপনি যে অনুতপ্ত তা আপনাকে দেখেই যেন বোঝা যায়।
তর্ক করবেন না
স্ত্রী যদি আপনার ওপরই রাগ করে থাকেন এবং আপনাকে কথা শোনাতে থাকেন তাহলে চুপ করে একটু কথা শুনে নিন। তার কথার মাঝখানে কোনো কথা না বলাই ভালো। নিজেকে বাঁচানোর থেকে বরং তার কথায় মনোযোগ দিন। তাকে বলতে দিন।
তিনি তার সব কথা বলার পর এমনিই শান্ত হয়ে যাবেন। তিনি রেগে থাকার সময়ে তার সঙ্গে তর্ক করা বৃথা। কারণ সেই সময় তিনি আপনার কোনো কথাই শুনবেন না। তাই নিজে থেকেই শান্ত হতে দিন স্ত্রীকে। পরে নিজের কথাগুলো বুঝিয়ে বলতে পারবেন।
স্ত্রীর কথা গায়ে মাখবেন না
ঝগড়ার সময় মানুষ এমন অনেক কথাই বলেন। কারণ তখন তারা কী করছেন কী বলছেন সেটা নিজেরাই জানেন না। বিপরীতের মানুষের সঙ্গে তর্কে জেতার খাতিরে নানা কথা তারা বলতে থাকেন। তাকে কথা শোনাতে থাকেন। আপনার স্ত্রী রেগে থাকার সময়েও আপনাকে নানা কথা শোনাতে পারেন।
দুই একটি ছোট বড় কথা বলতে পারেন। কিন্তু তার কথায় কষ্ট পাবেন না। তার কথাকে সত্যি বলে মেনে নেবেন না। তাহলে আপনাদের মধ্যে তিক্ততা বাড়বে। তাকে বলতে দিন। পরে তিনি নিজেই আপনাকে সরি বলবেন।
আরো পড়ুন: পুরুষ না নারী, কে প্রথম ভালোবাসার কথা বলেন
দোষ স্বীকার করে নিন
ভালোবাসায় ইগো আনবেন না। যদি দেখেন পরিস্থিতি বিগড়াচ্ছে, তাহলে সমাধান হিসাবে দোষ স্বীকার করে নিন। যদি তাতে দোষ আপনার নাও থাকে তাও। তর্ক করে অবস্থা অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেয়ে দোষ স্বীকার করে নিন।
এতে দুজনের মঙ্গল। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে, আপনি তার সঙ্গে সহমত। মাথা নেড়ে তাকে বোঝান যে, আপনি তার কথা মেনে নিচ্ছেন।
পরিস্থিতি থেকে পালাবেন না
যখন আপনার স্ত্রী রেগে রয়েছেন ও আপনার সঙ্গে ঝগড়া করছেন, তখন সেই পরিস্থিতি থেকে সরে আসবেন না। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তাই বলে ঝগড়া করার ও তর্ক করার দরকার নেই। চুপ করে তাকে ইগনোর করারও দরকার নেই। বরং, তার কথাগুলো শুনুন। আপনি তার সঙ্গে সহমত, তা বুঝিয়ে দিন।
এসি/ আই.কে.জে/