ছবি: সংগৃহীত
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পরকীয়ার জেরে প্রবাস ফেরত স্বামীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (০৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ।
হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ট্রাক রোট রেলি অফিস অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেল অফিসের সামনে একটি বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনায় ঘটে।
হত্যার শিকার এমরান হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর সুবিদপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের দালাল বাড়ির আবুল বাসারের ছেলে। তারা ৩ ভাই ৪ বোন।
এ ঘটনায় পুলিশ তার স্ত্রী ফারজানা আকতারকে আটক করেছে। আটক ফারজানা ফরিদগঞ্জ উপজেলার ঝাঁকনী গ্রামের খান বাড়ির মেয়ে। নিহত এমরান হোসেনের ৮ বছর বয়সি আফরান নামে এক ছেলে সন্তান আছে।
ঘটনার পরপরই চিৎকার শুনে ওই বিল্ডিংয়ে ছুটে যাওয়া শাহরাস্তি উপজেলার বলশিদ গ্রামের নাহার জানান, চিৎকার শুনে ওই বিল্ডিংয়ে গিয়ে দেখি ফ্লাটের দরজা খোলা। স্বামী এমরানের মাথা কোলে নিয়ে চিৎকার করছিলেন ফারজানা। এ সময় তার গলা সাদা কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী জিসান আহমেদ জানান, চিৎকার শুনে দৌঁড়ে গিয়ে দেখি পুরো ফ্লাট রক্তে ভরে আছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
নিহত এমরান হোসেনের বাবা আবুল বাসার হাসপতালে সংবাদকর্মীদের বলেন, এমরানের স্ত্রী ফারাজানার বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় পরকীয়ার অভিযোগে বিচার হয়েছিল। আমার ছেলে তার স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে দেশে ফিরে হাতে নাতে পরকীয়া ধরে। এ ঘটনায় ফারজানা আমার ছেলেকে তালাক দেয়। পরে সন্তানের কথা চিন্তা করে আবারও সংসার শুরু করে তারা।
তিনি আরও বলেন, পরকীয়ার জেরে আমার ছেলেকে তার স্ত্রীর হাতে জীবন দিতে হয়েছে।
তিনি ফারজানা ও তার পরকীয়া প্রেমিকের ফাঁসি দাবি করেন।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রশিদ গণমাধ্যমকে জানান, নিহত এমরানের স্ত্রী ফারজানাকে আটক করা হয়েছে। সেখানে কি ঘটেছিল সে বিষয়ে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা চলছে।