ছবি : সংগৃহীত
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। প্রধান উৎপাদন অঞ্চলগুলোতে সবজির দাম পড়ে যাওয়া এ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
গেল ৮ই ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। উৎপাদন কমে যাওয়ায় তিন মাসের মধ্যে দেশে দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার পর এ পদক্ষেপ নেয় ভারত সরকার। কুইন্টালপ্রতি পেঁয়াজের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। খরিপ শস্য বাজারে আসায় দেশটিতে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে।
জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, প্রধান প্রধান উৎপাদন অঞ্চলগুলোতে সবজির দাম তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমে যাওয়ায় কেন্দ্র সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
গত কয়েকদিনে, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। প্রতি কুইন্টালের দাম ১ হাজার ৮৭০ রুপি থেকে কমে ১ হাজার ৫০০ রুপিতে নেমেছে।
রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার সময় যে দাম ছিল, মহারাষ্ট্রের লাসালগাঁও পাইকারি বাজারে সে দাম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে বলে জানিয়েছেন ওই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। বাজারে প্রতিদিন খরিপ পেঁয়াজ আসার পরিমাণ বেড়ে ১৫ হাজার কুইন্টালে দাঁড়িয়েছে।
রবি শস্যের তুলনায় খরিপ ফসলের জীবনকাল কম। ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরাও চাই না, দাম খুব বেশি কমুক। তিনি আরো বলেন, ভারতও বিশ্ববাজারে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে চায় এবং ইতোমধ্যে সই করা বাণিজ্য চুক্তির প্রতি সম্মান জানাতে চায়।
এদিকে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে অনেকটাই কমবে দাম মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
সূত্র:ইকোনমিক টাইমস
এইচআ/ওআ