ছবি : সংগৃহীত
রাতের দিকে বাড়তে থাকে শীত। কাজ শেষে বাড়িতে ফিরলে শীত যেন পেয়ে বসে। কোনো কাজই করতে ইচ্ছে হয় না। তাই শীতে এই সময়টাতে ঘর গরম রাখার বিকল্প নেই। কিন্তু বললেই তো আর গরম রাখা যায় না। চলুন জেনে নিই ঘর গরম বা উষ্ণ রাখতে কয়েকটি টিপস।
১। শীতের রাতে বাইরের ঠাণ্ডা বাড়তে থাকে, তাই জানালা ঠিকভাবে লাগিয়ে রাখুন। তবে দিনের বেলায় অবশ্যই খুলে দিবেন। যদি দিনের বেলায়ও অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পড়ে, তবুও কিছু সময় খোলা রাখুন। তাহলে আলো বাতাস ঠিক মতো ঘরে প্রবেশ করতে পারে। তাহলে বন্ধ আবহাওয়া আর থাকবে না।
২। যে জানালা দিয়ে সূর্যের আলো প্রবেশ করে, সেখানে স্বচ্ছ শাওয়ার কার্ট ধরনের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। এটি ঠাণ্ডা বাতাসকে বাইরে রাখবে, কিন্তু সূর্যের উষ্ণতা আসবে ঘরে। ফলে ঘর গরম হবে সহজেই।
৩। সূর্যের আলো না এলে ভারী পর্দা লাগান। ভারী পর্দার বাতাসকে আটকে দিতে পারে। তবে দিনের বেলায় পর্দা সরিয়ে রাখুন। সূর্য ডুবে গেলে বন্ধ করে দিন।
৪। দরজা ভাল করে আটকে রাখুন। দরজার ফ্রেমের চারপাশে এবং দরজার নিচ দিয়ে বাতাস ঘরে প্রবেশ করে কিনা পরীক্ষা করুন। ওয়েদার স্ট্রিপ বা দরজার নিচে লাগানোর ঝাড়ু বাজারে কিনতে পারা যায়। সেগুলো ভাল কাজ দেবে। আর কিছুই পাওয়া না গেলে দরজার নিচে একটি তোয়ালে দিয়ে দিতে পারেন, কাজ চলে যাবে।
আরো পড়ুন : প্রতিদিনের এই পানীয়তেই হবে ত্বক সুন্দর
৫। দেখতে হবে, সূর্যের আলো যেন যতটা সম্ভব বাড়িতে এসে পড়ে। বাড়িতে সূর্যের রশ্মি পৌঁছাতে পারে এমন বাধাগুলো ভাল করে পরীক্ষা করতে হবে। বাড়ির রৌদ্রোজ্জ্বল দিকে দেয়ালের সঙ্গে থাকা এমন সব জিনিস সরিয়ে ফেলা ভালো।
৬। ঘর গরম রাখার জন্য মেঝেতে একটি কার্পেট দিতে পারেন। রাগ বা কার্পেট মেঝের তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে। কার্পেট থাকলে কাঠ বা পাথরের মেঝের থেকে স্পর্শে বেশি উষ্ণ বোধ হয়। তাই হাঁটতেও অসুবিধা হবে না।
৭। বাজারে অনেক ধরনের রুম হিটার পাওয়া যায়, সেগুলো ঘরকে গরম রাখতে সাহায্য করবে। তবে এগুলো নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে।
৮। রান্না হয়ে গেলে, ওভেনটি কিছু সময়ের জন্য জ্বালিয়ে রাখলে ঘরে কিছুটা তাপ ছড়িয়ে যাবে। তবে মনে রাখতে হবে, বাষ্প তৈরি করে এমন রান্না কম করতে হবে, কারণ এটি বাতাসে আর্দ্রতা বাড়াবে এবং ঘরকে স্যাঁতসেঁতে করে তুলবে। শীতকালে আর্দ্রতা কম হলে তা উষ্ণ অনুভব করতে সহায়তা করে। কারণ আর্দ্র বাতাস শীতকালে শুষ্ক বাতাসের চেয়ে বেশি ঠাণ্ডা অনুভব করায়।
৯। ঘরে লাইটের বদলে মোমবাতি জ্বালাতে পারেন। মোমবাতি প্রচুর তাপ উৎপন্ন করতে পারে। কিন্তু সেগুলো কোথায় রাখা হয়েছে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। চাইলে একটি মোমবাতি হিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি আসল হিটারের মতো বেশি তাপ তৈরি না করলেও খুব সস্তায় উষ্ণতা তৈরি করবে।
১০। সব সময় কিছু লাইট জ্বালিয়ে রেখে দেওয়া যেতে পারে। বাল্ব তার শক্তির ৯৫% পর্যন্ত আলোর পরিবর্তে তাপ হিসাবে প্রকাশ পায়। ফলে একটা বাল্বও একটি অত্যন্ত দক্ষ তাপের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে।
এস/ এসি
খবরটি শেয়ার করুন