ছবি: সংগৃহীত
সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু নির্যাতন, প্রতিমা ভাঙচুর, চারণকবি রাধাপদ রায়ের উপর শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ও দুর্গাপূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটি ও অধিকতর নিরাপত্তা এবং ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম, হিন্দু যুব ফোরামসহ কয়েকটি সংগঠন।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হিন্দু ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নারী কমান্ডার আশালতা বৈদ্য, সহ-সভাপতি কালীপদ মজুমদার, অধ্যাপক অশোক তরু, প্রণব মঠ অধ্যক্ষ শ্রী সঙ্গীতানন্দ গণেশ মহারাজ, হিন্দু সংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হিরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, নিত্যগোপাল ঘোষ, অনিল পাল, বাসুদেব গুহ, মৃনাল কান্তি দত্ত বাপ্পি, গোপাল চন্দ্র মন্ডল, লোকনাথ বিশ্বাস, সঞ্জিত মন্ডল প্রমুখ।
মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বিনির্মাণে এবং সকলের সম অধিকার প্রতিষ্ঠায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এদেশকে স্বাধীন করেছিলাম। কিন্তু আজও হিন্দু সম্প্রদায় তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। এখনো সারা বছর দেশের কোনো না কোনো স্থানে হিন্দু নির্যাতনসহ পূজা ও নির্বাচনের আগে ও পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অন্ধকার অমানিশার কালো মেঘ নেমে আসে। আমরা এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ চাই। একটি দুষ্ট চক্র সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে অব্যাহতভাবে এসব কাজ ও চক্রান্ত করে চলছে। এ বিষয়ে সরকারকে আরও বেশি সজাগ থেকে দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, অন্যথায় এ পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হবে না।
মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের পাঁচ দিনের দুর্গাপূজায় মাত্র এক দিন ছুটি থাকায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে পূজার আনন্দ ও ধর্মীয় রীতিনীতি শেষ করতে পারেন না। আমরা প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রীর নিকট দুর্গাপূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটির দাবি জানিয়ে এসেছি কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আজ পর্যন্ত তার কোনো উত্তর মেলেনি।
কর্মসূচিতে সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, সংখ্যালঘু বিষয়ক কমিশন/মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন করা, হিন্দু পারিবারিক আইন ও বিবাহ আইন পরিবর্তন ও সংযোজন করা চলবে না, সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত আসন, দুর্গাপূজায় ৩ দিন ও রথ যাত্রায় ১ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা এবং সরকারি চাকরিতে ২০ ভাগ কোটার ব্যবস্থা করতে হবে।
এসকে/