ছবি : সংগৃহীত
ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে এ বছর মাঠে থাকবে র্যাব, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও এপিবিএনের সাড়ে সাত লাখ ফোর্স, যা গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এক লাখ ৩০ হাজার বেশি। ভোটের আগে-পরে ১৩ দিন থাকবে সেনাবাহিনী।
জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র, প্রার্থী, ভোটার, প্রিসাইডিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারসহ প্রত্যেককে নিরাপত্তা দিতে এরই মধ্যে নির্বাচনী ছক তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা মাঠে থাকলেও নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে থাকবে পুলিশ। নির্বাচনে পুলিশের প্রায় ৮০ শতাংশ সদস্য ভোটের মাঠে মোতায়েন থাকছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য অধিকাংশ জায়গায় বিরতিহীনভাবে ডিউটি থাকবে পুলিশ সদস্যদের। আবার কিছু জায়গায় থাকবে শিফটিং ও মোবাইল টহল। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের ও অন্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, নির্বাচনে যে কোনো ধরনের উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে পুলিশ। এ বিষয়ে মাঠ পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ বদ্ধপরিকর।
আরো পড়ুন: ভোটে মাঠের নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলো মার্কিন পর্যবেক্ষক দল
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানা এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পুলিশ সদস্যরা প্রতিদিন যেসব কাজ করেন, এর বাইরেও এখন বাড়তি কাজ করতে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নজরদারি বাড়ানো, সভা ও মিছিল-মিটিংয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়তি নিরাপত্তা, টহল বাড়ানোসহ নানা কাজ করতে হচ্ছে পুলিশকে।
ইসির নির্দেশে তারা রুটিন ডিউটির বাইরে এসব কাজ করছেন। ফলে ক্লান্তি বেড়েছে পুলিশের প্রত্যেক সদস্যের। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারেও কাজ করছে পুলিশ। এবার বৈধ অস্ত্র জমা না নেওয়ায় অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার যাতে কোনোভাবে না বাড়ে সে দিকটিও খেয়াল রাখতে হচ্ছে পুলিশকে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের ভোটে বিজিবি-কোস্টগার্ড ১১ দিন, র্যাব-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৮ দিন, সশস্ত্রবাহিনী ১০ দিন নিয়োজিত ছিল। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি এবং ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।
এইচআ/ আই. কে. জে/