ছবি: সংগৃহীত
বলিউডের যেসব অভিনেত্রী দক্ষিণি সিনেমার মাধ্যমে অভিষেক করেছিলেন, তাদের মধ্যে হেমা মালিনী, রেখা, বিজয়ান্ধিমালা, জয়া প্রাদা ও শ্রীদেবী অন্যতম। কিন্তু এমন একজন অভিনেত্রী আছেন, যিনি শুধু সিনেমার জন্য নয়, ব্যক্তিগত জীবনের কারণেও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। তিনি হলেন রেখার মা পুষ্পাবল্লি। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়াডটকম।
পুষ্পাবল্লি প্রথম জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন ১৯৩৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সম্পূর্ণ রামায়ণ’-এ সীতার চরিত্রে অভিনয় করে। এটির জন্য তিনি মাত্র ৩০০ রুপি পারিশ্রমিক পান।
তার হিট ছিল তেলেগু চলচ্চিত্র ‘বালা নাগাম্মা’ (১৯৪২), যেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৪৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মিস মালিনি’-এ তিনি মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করলেও বক্স অফিসে সাফল্য পায়নি।
পুষ্পাবল্লির জীবন সব সময় সংবাদ শিরোনামে ছিল। সেটা তার সিনেমার ক্যারিয়ারের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবনের কারণে। ১৯৪০ সালে তিনি বিয়ে করেন কিন্তু ছয় বছরের মাথায় দাম্পত্য জীবন কঠিন হয়ে ওঠে। স্বামীকে ছেড়ে আলাদা জীবনযাপন শুরু করেন।
এরপর তার জীবন ঘুরে দাঁড়ায় ‘মিস মালিনি’ ছবিতে নবাগত অভিনেতা জেমিনি গণেশনের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে। পুষ্পাবল্লি ও গণেশন একে অপরের প্রেমে পড়েন, যদিও উভয়েই তখন অন্য কারও সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন।
জেমিনি গণেশন কখনো পুষ্পাবল্লিকে বৈধ স্ত্রীর মর্যাদা দেননি। তবু পুষ্পাবল্লি তার পুরো জীবন কাটান গণেশনের সঙ্গী হিসেবে। তাদের দুই কন্যা—বড় কন্যা হলেন বলিউড অভিনেত্রী রেখা এবং ছোট কন্যা রাধা, যিনি পরবর্তী সময় আমেরিকায় বসতি গড়েছেন।
পুষ্পাবল্লি ১৯৯১ সালে মারা যান। বেশির ভাগ চলচ্চিত্রে তিনি সহায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, কিছু নির্বাচিত ছবিতে প্রধান চরিত্রে। কিন্তু তার কন্যা রেখা, যিনি পুষ্পাবল্লির ইচ্ছামতোই চলচ্চিত্রে নাম লেখান, পরবর্তী সময় বলিউডের এক বড় নাম হয়ে ওঠেন। রেখা মাত্র ১২ বছর বয়সে তেলেগু চলচ্চিত্র ‘রঙুলা রত্নম’-এ অভিষেক করেন।
১৫ বছর বয়সে রেখা কাজ করেন তার প্রথম বলিউড চলচ্চিত্র ‘অঞ্জনা সফর’, যা পরে ‘দো শিকারি’ নামে পরিচিতি পায়। পুষ্পাবল্লির মতো রেখার জীবনও ছিল ঘটনাবহুল—তার স্বামী দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ আগারওয়াল, বিয়ের এক বছরের কম সময়ের মধ্যে মারা যান।
খবরটি শেয়ার করুন