ছবি : সংগৃহীত
ইউরিক অ্যাসিড হল শরীরের বর্জ্য পদার্থ যা রক্তে পাওয়া যায়। শরীর থেকে পিউরিনে সমৃদ্ধ খাবার হজমের পর এটি নিঃসৃত হয়। পিউরিন হলো একটি রাসায়নিক যৌগ যা কার্বন ও নাইট্রোজেন পরমাণু দ্বারা গঠিত। আমরা যখন অতিরিক্ত পরিমাণে পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার খাই তখন এটি হজম করতে ব্যর্থ হয়। আর এতেই বাড়ে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা।
শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে, কিডনির ফিল্টার করা কষ্টকর হয়ে যায়। অতিরিক্ত ভার পড়ে কিডনির ওপর। এক পর্যায়ে তাই কিডনি ক্ষতিগ্রস্তও হতে পারে। এছাড়া, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। একজন সুস্থ ব্যক্তির রক্তের প্রতি ডেসিলিটারে ৩.৫ থেকে ৭.২ মিলিগ্রাম ইউরিক অ্যাসিড থাকা উচিত।
কিছু পানীয় রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সক্ষম। এমন কিছু পানীয় সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
আরো পড়ুন : শীতে যা খাবেন, যা খাবেন না
গাজর-বিট-শসা
গাজর, বিট আর শসার ব্লেন্ড করে এর রস পান করতে পারেন। তিনটি উপাদান সমান পরিমাণে মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেলে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড বের হয়ে যায়। সকালে খালি পেটে এই পানীয় পান করুন। এই রস শরীরকে ডিটক্সিফাই করে এবং নোংরা টক্সিন দূর করে। পাশাপাশি ওজন কমাতে এবং ত্বক মসৃণ করতেও সাহায্য করে এই পানীয়।
গ্রিন টি
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গ্রিন টির উপকারিতা অপরিসীম। গবেষণা অনুযায়ী, নিয়মিত পরিমিত গ্রিন-টি পান করলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে। গ্রিন টি-তে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা আর্থ্রাইটিসের সঙ্গে যুক্ত প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাই ইউরিক অ্যাসিড কমাতে চাইলে গ্রিন টি পান করতে পারেন।
লেবু-পানি
উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগলে, দিন শুরু করুন এক গ্লাস লেবু পানি দিয়ে। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। যা শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও সাইট্রিক অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস লেবু। এটি শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দ্রবীভূত করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পান করতে পারেন ক্যামোমাইল, ল্যাভেন্ডার বা অন্যান্য ভেষজ চা। স্বাস্থ্যের জন্য এসব চা বেশ উপকারি।
এস/ এসি
খবরটি শেয়ার করুন