ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে চাঁদে আর্টেমিস-২২ মিশন পাঠাতে চলেছে। আর এই মিশন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা তুঙ্গে। এবার এই মিশনের জন্য সংস্থাটি মহাকাশচারীদেরও নির্বাচন করেছে। তারা হলেন- কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির জেরেমি হ্যানসেন, নাসার ক্রিস্টিন কোচ, ভিক্টর গ্লোভার এবং রিড ওয়াইজম্যান। এই চারজন মহাকাশচারী আর্টেমিস-২ মিশনের অংশ হবে।
আর্টেমিস মিশনের দ্বিতীয় পর্যায় হতে চলেছে এটি। এই মিশনের মেয়াদ দশ দিন। ‘হিউম্যান ডিপ স্পেস ক্যাপাবিলিটিস’ নিয়ে নাসা যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার মধ্যে মহাকাশচারীদের নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এই পর্যায়েই প্রথম অভিযান চালাবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। এই মিশনটি চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীতে ফিরে আসবে।
২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে আর্টেমিস-৩ মিশন পাঠানো হলে, নভোচারীরা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। এরপরে ২০২৮ সালে, আর্টেমিস-৪-কে চাঁদে পাঠানো হবে, তা চাঁদে গেটওয়ে লুনার স্পেস স্টেশন তৈরি করবে। আর্টেমিস-২ মিশনের পরই তৃতীয় মিশনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানাচ্ছেন নাসার অ্যাডমিনিস্টেটর।
আরো পড়ুন : স্মার্ট টয়লেট, নিয়ন্ত্রিত হয় ভয়েস দ্বারা
নাসার অ্যাডমিনিস্টেটর বিল নেলসন বলেন, এবার আমরা যেভাবে চাঁদে যাচ্ছি তা আগে কখনও হয়নি। কিন্তু এই মিশনের আগে আমাদের মহাকাশচারীদের নিরাপত্তার কথা ভাবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমস্ত মিশন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে চার মহাকাশচারীকে পৃথিবীতে সঠিকভাবে ফেরত আনা যায়। তবে আর্টেমিস-3 মিশনটিকে ২০২৬-এ পাঠানো হবে। তৃতীয় মিশনে নাসার নভোচারীরা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবেন। চতুর্থ মিশনে নাসা চাঁদে নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরির চেষ্টা শুরু করবে।
বিল নেলসনের মতে, এটি কোনও একটি নির্দিষ্ট দেশ বা সংস্থার মিশন নয়। এটিকে সমগ্র বিশ্বের মিশন বলা যেতে পারে। আমরা কোনও মহাকাশচারীর স্বাস্থ্য বা জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারি না। বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে সমস্ত লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম চেক করে তবেই এই মিশনে জেরেমি হ্যানসেন, ক্রিস্টিন কোচ, ভিক্টর গ্লোভার এবং রিড ওয়াইজম্যানকে পাঠানো হবে।
এস/ আই.কে.জে/