চাবাহার বন্দর
ইরানের রাষ্ট্রপতি সাইয়েদ ইব্রাহিম রাইসির সাথে চাবাহার বন্দর নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তারা চাবাহার বন্দরের পূর্ণ সম্ভাবনা সম্পর্কে কথা বলেন। একইসাথে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার ব্যাপারেও আলোচনা করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদী রাইসির সাথে আবারও আলোচনায় বসবেন বলে জানান।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ব্রিকসের সম্প্রসারণ সহ বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতার বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। তাছাড়া এ দুই নেতা আগামী ২২-২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের এক ফাঁকে ফের আলোচনায় বসতে আগ্রহী।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "ইরানের সাথে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর ও ঐতিহাসিক।"
জুলাইয়ের শুরুতে নরেন্দ্র মোদী 'এসসিও' শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন। সেখানে নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দেয় ইরান। তাছাড়া মোদী বেলারুশের এসসিও সদস্যপদের জন্য স্মারক স্বাক্ষরের ঘটনাকেও স্বাগত জানান।
এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে মোদী জানান, “ইরানের এসসিওতে যোগদানের পর অন্যান্য এসসিও সদস্যরা চাবাহার বন্দরের সর্বাধিক ব্যবহার সম্পর্কে কাজ করতে পারে।”
তিনি বলেন, ”যেকোনো অঞ্চলের অগ্রগতির জন্য শক্তিশালী সংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত সংযোগ শুধুমাত্র পারস্পরিক বাণিজ্য সম্পর্কই বাড়ায় না বরং পারস্পরিক আস্থাও বৃদ্ধি করে। যাইহোক, এই প্রচেষ্টাগুলোতে, বিশেষ করে সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিকতাকে সম্মান করে এসসিও সনদের মৌলিক নীতিগুলো বজায় রাখা অপরিহার্য।”
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মোদি সমরকন্দে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের এক ফাঁকে ইব্রাহিম রাইসির সাথে বৈঠক করেন। তখন দুই নেতা ভারত ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্ব নিয়েও কথা বলেন।
এসকে/