ছবি-সংগৃহীত
‘নিরাপদ উচ্চমূল্য ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতায় চলতি মৌসুমে নাটোরের গ্রীষ্মকালে ফুলকপি আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। তাছাড়া অসময়ে ফুলকপি হওয়ায় বাজারে ভালো দাম পাচ্ছে চাষিরা।
জানা যায়, নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিস ‘নিরাপদ উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতায় চলতি গ্রীষ্মকালে ফুলকপি আবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই উদ্যোগের ফলে ৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপি আবাদ হয়। উৎপাদন অন্তত শত টন।
কৃষি বিভাগ নির্বাচিত ১২ জন কৃষকের প্রত্যেককে ৫০ শতাংশ জমিতে ফুলকপি আবাদে প্রয়োজনীয় বীজ, জৈব সার, কীটনাশক এবং পরিচর্যা বাবদ ২ হাজার টাকা প্রদান করে।
নাটোর সদর উপজেলার দিয়ার ছাতনী এলাকার চাষি রাজিব হোসাইন বলেন, পৌনে ২ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। কৃষি বিভাগ প্রদর্শনী খামার স্থাপন করে প্রয়োজনীয় জৈব ও রাসায়নিক সার, কীটনাশক, পোকামাকড় দমনের ফাঁদ এবং পরিচর্যার জন্যে ২ হাজার টাকা প্রদান করে।
আগস্টের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই ফুলকপি বিক্রি শেষ করেছি। শুরুতে দামও বেশ ভালো পেয়েছি। সবমিলিয়ে ৫০ হাজার টাকার খরচ বাদ দিয়ে মুনাফা হয়েছে দেড় লাখ টাকা।
আরো পড়ুন: ২৫ টাকার লেবুর চারায় লাখ টাকা আয়
আরেক চাষি কদর আলী বলেন, ৭ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষ করেছি। জমিতে পর্যায়ক্রমে ফুলকপি বিক্রি করছি। প্রায় আরো এক মাস বিক্রি করতে পারবো। বৃষ্টির পানিতে অনেক সময় ফুলকপিতে পঁচন ধরার একমাত্র সমস্যার কথা জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মেহেদুল ইসলাম বলেন, নাটোরের কৃষি বৈচিত্র্যকরণে ভরপুর হয়ে উঠেছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলাম আমরা। কপি চাষ করে তাঁরা সফল হওয়াতে আমাদের প্রশান্তি। ভবিষ্যতে এই ধরণের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
এসি/ আই. কে. জে/