শুক্রবার, ৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারতকে ‘নিরবচ্ছিন্নভাবে’ জ্বালানি তেল সরবরাহ করবে রাশিয়া: পুতিন *** আড়াই ঘন্টা বাইরে থেকে খাঁচায় ফিরল সিংহী ডেইজি *** ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি *** খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাচ্ছে কাতার *** প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা মাহফুজ আনামের *** প্রসাধনী শিল্পে ব্যবহৃত তেলের জন্য হাঙর শিকার, বিলুপ্তি ঠেকাতে বৈশ্বিক উদ্যোগ *** শেখ হাসিনাকে ফেরতের ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** ‘তারেক রহমান যাকে ইচ্ছা তাকে প্রধান উপদেষ্টা বানাতে পারতেন’ *** শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে রোববার খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে *** চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে: মির্জা ফখরুল

বিশ্বে প্রকাশনায় ছাপানো প্রথম বই

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ০১:৩১ অপরাহ্ন, ১৫ই এপ্রিল ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত।

আজ আমরা যে বই পড়ছি, তা তৈরি করার ইতিহাস মোটেও এক দিনের নয়। পৃথিবীতে মানুষ আসার অনেক পর যখন মনের ভাব প্রকাশে ভাষার বিকাশ হতে শুরু করে, সেই কথা বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করতে পাথরের দেয়ালে লেখার প্রচলন শুরু করে মানুষ। তারই ধারাবাহিকতায় মানুষ আবিষ্কার করে কাগজ, কালি ও কলম। আর এসবের আবিষ্কারের বহু পর মানুষ তৈরি করতে সক্ষম হয় বই।

মস্তিষ্কের তথ্য আর জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে কিংবা মন বা আত্মাকে আলোকিত করতে সামান্য কাগজের অসামান্য লেখা বইয়ের জুড়ি সত্যি পৃথিবীতে আর কোনোটিই নেই। অথচ কাগজে ছাপা হয়ে বই কোনোদিন মানুষের হাতে হাতে ঘুরবে বা শেলফে শোভা পাবে, এমনটা খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০ সালে কেউ হয়তো ভাবেনি।

বইয়ের ইতিহাস লেখার বিকাশের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা অন্যান্য বিভিন্ন আবিষ্কার যেমন: কাগজ, মুদ্রণ এবং বই মুদ্রণের আধুনিক দিনের ব্যবসার মাধ্যমে পরিচালিত। প্যাপিরাসের শিট দিয়ে বইয়ের ইতিহাস শুরু হলেও তা আধুনিক বইয়ের সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় সেগুলোকে প্রথম বই হিসেবে ধরা হয় না।

চীনে প্রকাশিত প্রথম বইয়ের মর্যাদা পেয়েছে হীরক সূত্র নামের বইটি। ৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ১১ মে জাপানের সম্রাজ্ঞী মোবতোকু বুদ্ধদেবের ১০ লাখ বাণী নিয়ে এই বইটি কাঠের ব্লকে হস্তচালিত যন্ত্রে ছাপানো হয়েছিল।
জ্ঞানবিজ্ঞানে এশিয়া একসময় ইউরোপের চেয়ে অনেক বেশি অগ্রগামী ছিল। ধারণা করা হয়, চীন এবং কোরিয়াই ছাপাখানার আদি স্থান। ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে গোরিও রাজবংশের সময় কোরিয়ায় প্রথম ধাতবের টাইপ উদ্ভাবিত হয়েছিল। এর ফলশ্রুতিতে ১৩৭৭ খ্রিষ্টাব্দে 'জিকজি' নামের ধাতবের টাইপ দিয়ে মুদ্রিত হয় কোরিয়ার প্রথম বই।

এরপর ১৪৩৯ সালে জোহানেস গুটেনবার্গ তার ধাতব কাজের দক্ষতা ব্যবহার করে একটি পদ্ধতিগত এবং নির্ভরযোগ্য প্রিন্টিং প্রেস ডিজাইন করেছিলেন, যা বইয়ের ব্যাপক উৎপাদনের জন্য একটি কার্যকরী পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে। প্রথম গণ উৎপাদিত বইটি ছিল 'দ্য গুটেনবার্গ বাইবেল'। ১৪৫৫ সালে চলমান ধাতু ব্যবহার করে মুদ্রিত হয়েছিল এই বইটি। ১৪৫৫ সালে শিল্পসম্মতভাবে তৈরি ৪২ লাইনের বাইবেল হিসেবে খ্যাত বইটির ২১টি কপি এখনো বিদ্যমান আছে।

আমেরিকায় প্রথম মুদ্রিত বই হিসেবে ১৬৪০ সালে দ্য হোল বুক অব সাম বইটি প্রকাশিত হয়। এ বইটিকে সংক্ষেপে বলা হয় দ্য বেই সাম। আজ অবধি এই বইটির মাত্র ১১টি কপি বিদ্যমান রয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

এমএইচডি/

বিশ্ব প্রকাশনা প্রথম বই বইয়ের ইতিহাস হীরক সূত্র

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250