ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় রিমান্ড শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রোববার (৫ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এ ছাড়া মির্জা আব্বাসের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারাবিধি অনুযায়ী তাকে ডিভিশন ও সুচিকিৎসার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। পরে ৩১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরো পড়ুন: ৮ দিনে ৮৯ মামলায় গ্রেফতার ২১৭২
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে এবং নির্দেশনায় আসামিরা বেআইনিভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্লোগান দেন। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুর এলাকায় নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং পুলিশ হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেন তারা। পরে আসামিরা পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যান।
এসকে/