ছবি-সংগৃহীত
বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে ছাড়া অসম্পূর্ণ। সঠিকভাবে বলতে গেলে তিনিই ‘ইন্ডাস্ট্রি’। এমনকী আজকাল তো বাঙালির পুজা অসমাপ্ত তাঁর সিনেমা ছাড়া। বুঝে গিয়েছেন নিশ্চয়ই কার ব্যাপারে কথা হচ্ছে। তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
যার সব কিছুর দিকে নজর থাকে বাঙালির। তিনি শুধু শসা-দই খান, না গ্রিলড চিকেন, তা নিয়েও চায়ের কাপ হাতে চলে তুফানি আড্ডা। সেই প্রসেনজিৎই কি না পরিচয় করালেন নিজের ‘অমর সঙ্গী’র সঙ্গে।
আসলে প্রসেনজিৎ অন্তর্জালে তুলে ধরলেন নিজের সানগ্লাস প্রেম। নানা ধরনের ফ্রেম, নানা রঙের গ্লাসে নিজের ছবি শেয়ার করে লিখলেন, `সানগ্লাস' আর আমি...আমরা অমর সঙ্গী’। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, যে কোনও ইভেন্টেই বুম্বাদা চোখ ঢেকে রাখেন রোদ চশমায়।
চোখে সানগ্লাস না থাকলে সাজ সম্পূর্ণ হয় না তাঁর। মনে আছে নিশ্চয়ই, সেই আয় খুকু আয়ের প্রোমোশনে গিয়ে ফুটপাথ থেকে সানগ্লাস কিনেছিলেন।
প্রসেনজিতের শেয়ার করা ছবিগুলির মধ্যে কোনোটায় তাঁর চোখে রাউন্ড ফ্রেম, কোনওটায় অ্যাভিয়েটর, আবার কোনওটায় অ্যাঙ্গুলার। এক ভক্ত এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে লিখলেন, ‘একদিন আপনার সানগ্লাসের কালেকশন নিয়ে যদি কোনও প্রদর্শনী হয় তাহলেও অবাক হব না।’ আরেকজন লিখলেন, ‘স্টাইল কিং আপনি। সবদিক থেকে আপনি অতুলনীয়। আমাদের গর্ব।’
আরো পড়ুন: স্বামীর পর্নোকাণ্ড নিয়ে সিনেমা : মুখ খুললেন শিল্পা শেঠী
প্রসেনজিৎ কিন্তু বর্তমানের অভিনেতাদের টক্কর দিয়ে চুটিয়ে কাজ করে চলেছেন এখনও। হিন্দি ভাষায় ‘জুবিলি’র হাত ধরে ওটিটি-র পর্দায় পা রেখেছেন চলতি বছরেই। সেখানে শ্রীকান্ত রায়ের ভূমিকায় প্রসেনজিতের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে দর্শকদের মধ্যে।
পয়লা বৈশাখে মুক্তি পেয়েছে শেষ পাতা। এই সিনেমায় তাঁকে ৫৮ বছরের এক বৃদ্ধ লেখকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। মুখ ভর্তি সাদা দাড়ি, মাথার কাঁচাপাকা চুলের মধ্যিখান দিয়ে উঁকি দিচ্ছে টাক, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা পরা প্রসেনজিতকে চেনাই দায় ছিল।
আর পুজায় আসছে ‘বাইশে শ্রাবণ’-এর প্রিক্যুয়েল ‘দশম অবতার’। ‘প্রবীর রায়চৌধুরি’ হিসাবে ফিরছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকছেন যিশু সেনগুপ্ত, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, জয়া আহসানের মতো হেভিওয়েট অভিনেতারা। এই ছবি কড়া টক্কর দেবে কোয়েলের মিতিন মাসি, দেবের বাঘাযতীন ও শিবপ্রসাদ-নন্দজিতার রক্তবীজকে।
এসি/ আই. কে. জে/