ছবি: সংগৃহীত
ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে পাকিস্তান সরকার শুধু ২৪.৯ কোটি রুপিই হারায়নি, সারাদেশে বিক্ষোভেরও জন্ম দিয়েছে। পাকিস্তানি নাগরিকদের মতে সরকার এ ধরনের কার্যকলাপ দ্বারা তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর আক্রমণ করেছে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারের পর সহিংস বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যার ফলে দেশটি আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিতকরণে ব্যবসা, ই-কমার্স এবং অনলাইন শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় নাগরিকদেরকে।
তবে পাকিস্তানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের মতো ঘটনা নতুন নয়। পূর্বেও বহুবার পাকিস্তান সরকার এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ কার্যক্রমকে স্বাধীন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা বলেই মনে করছেন অনেকে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এ পদক্ষেপ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, "মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং আইনের শাসনই রাজনৈতিক সংঘাত নিরসনের চাবিকাঠি"।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ ধরনের কার্যকলাপকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে পাকিস্তানি সরকারকে অবিলম্বে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানায়।
ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান বিরাট আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীনও হয়েছে। ফেডারেল বোর্ড অফ রেভিনিউও রাজস্বের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ২০ কোটি রুপির ক্ষতির সম্মুখীন। অন্যদিকে গত তিনদিনে আইটি সেক্টর ১০০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
এছাড়াও ডেলিভারি রাইডার, ফিল্যান্সারসহ অনেকেই এই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের কারণে জীবিকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
যখন পাকিস্তান তার ভাবমূর্তি এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছিল, তখন সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ দেশটিকে আবার সমালোচনার মুখে ফেলেছে।
পাকিস্তানে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করায় আর্থিক ক্ষতির মুখে দেশটি
খবরটি শেয়ার করুন