রবিবার, ৬ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে নবাবগঞ্জে গরুর রশি ছেড়া প্রতিযোগিতা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০২ অপরাহ্ন, ১৬ই জানুয়ারী ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার নবাবগঞ্জে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে গরুর রশি ছেড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় চার শতাধিক বছর আগে থেকে প্রতিযোগিতাটি পালন করে আসছে এলাকাবাসী। সোমবার (১৫ই জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের চন্দ্রখোলা মাঠে চন্দ্রখোলা কালি মন্দির কমিটির আয়োজনে এ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে আসেন নবাবগঞ্জ, দোহার, শ্রীনগর, সিরাজদিখান, সিংগাইর, হরিরামপুরসহ আশপাশের উপজেলার প্রায় ২০ হাজার দর্শক।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর আড়াইটা থেকেই নানা বয়সী মানুষ দলে দলে গরুর দৌড় দেখতে আসা শুরু করেন। বিকেলে মাঠের চারপাশ ভরে যায়। অনুষ্ঠান ঘিরে চারপাশে বসে বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গ্রাম্য মেলা।  

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আসে উপজেলার উত্তর বালুখণ্ডের আজগর আলীর গরু, ভাওয়ালিয়া গ্রামের দরবেশ মাতাববরের গরু, কৈলাইলের রতন সিংয়ের গরুসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শতাধিক গরু আসে প্রতিযোগিতায়।

আরো পড়ুন: বিনা পয়সার বাজার!

মন্দির কমিটির বলরাম বেপারী ও হারাধন মাঝি জানান, বাপ-দাদাদের কাছ থেকে এ প্রথা শুনে আসছি। প্রথা অনুযায়ী, গরু রশি ছেড়ার আগে মন্দির থেকে আনা গঙ্গা জল গরুর গায়ে ছিটিয়ে পবিত্র করা হয়। যাতে কোনো ধরনের অমঙ্গল প্রভাবিত করতে না পারে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষক শ্যামল সরকার জানান, প্রতিবছরই মেলা উপলক্ষে অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে থেকে আশপাশের উপজেলার বাড়িগুলোতে বাড়তে থাকে অতিথির সংখ্যা। অতিথিরা কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত অবস্থান করেন। তাদের আপ্যায়নের জন্য রকমারি পিঠাপুলিরও আয়োজন করা হয়।

চন্দ্রখোলা কালি মন্দির কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার তালুকদার জানান, প্রতি বছর পৌষ মাসের শেষ দিনে পৌষ সংক্রান্তি ও কালীপূজা উপলক্ষে এ উৎসব পালন করা হয়। আজ থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৫ দিনব্যাপি ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুরু হলো।

তিনি আরো জানান, এলাকার মানুষগুলো প্রতিবছরই এ দিনের অপেক্ষায় প্রহর গুণে। গরুর রশি ছেঁড়া প্রথা এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আনন্দ বয়ে আনে। গ্রামবাংলার মানুষের চিরচেনা এ গরু রশি ছেঁড়া প্রথা ইতিহাসের পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়।  

এইচআ/ আই. কে. জে/

পৌষ সংক্রান্তি নবাবগঞ্জ রশি ছেড়া প্রতিযোগিতা

খবরটি শেয়ার করুন