ছবি: সংগৃহীত
রাইসিকে বহনকারী কপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু নিয়ে প্রতিদিনই জল্পনা-কল্পনার ডালাপালা মেলছে। দুর্ঘটনার পরপরই ইসরাইলি মিডিয়ায় মৃত্যুর খবর, আমেরিকার পক্ষে সাফাই, ইরানের ভেতরে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, বহরে থাকা অন্য দুই হেলিকপ্টারের নিরাপদে ফেরত আসাসহ বিভিন্ন ঘটনা জন্ম দিচ্ছে নানামুখী প্রশ্ন আর বিতর্কের। এরমধ্যেই নতুন করে ঘি ঢেলেছে ফ্রান্সের একটি গোষ্ঠী।
ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেলের একটি বিতর্ক অনুষ্ঠানে উঠে আসা বক্তব্য একটি তুমুল ভাইরাল। বলা হয়েছে সর্ষের মধ্যেই নাকি ভূত ছিলো। ইরানি প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী সেই হেলিকপ্টারের পাইলট ছিলেন মোসাদের এজেন্ট। এই তত্ত্ব ঘিরে এখন সর্বত্র শোরগোল। হামাসও এই দাবিতে সিলমোহর ফেলেছে। একাধিক টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই বিষয়টি শেয়ার করা হচ্ছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার পেছনে কি মোসাদ এজেন্টের হাত, এই নিয়ে এক বিতর্কের আয়োজন করে ফরাসি-ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল আই-২৪। সেখানেই উঠে আসে মোসাদের এক এজেন্টের নাম। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেশটির একাধিক টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই মোসাদ এজেন্টের নাম করে মিম ছড়াতে শুরু করে। জানা গেছে, এই টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলো হামাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
আরো পড়ুন: রাইসির জানাজায় ইমামতি করলেন খামেনি, অংশ নেয় ১০ লক্ষ জনতা
ভাইরাল হওয়া সেই টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল হাইককে ফরাসি ভাষায় বলতে শোনা যায়, মোসাদের এক এজেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টারের পাইলট ছিল। এই সম্পর্কে তার কাছে সঠিক তথ্য নেই জানিয়ে তিনি দাবি করেন, এই খবরটি এরইমধ্যে রটে গিয়েছে। দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই মোসাদের এই এজেন্টের নামে একাধিক তথ্য প্রথমে হোয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়ায়, সেখান থেকে টেলিগ্রামে।
যদিও প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুকে ইরান হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেনি, কোনও ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দাঁড়া করায়নি, তারপরও একের পর এক প্রশ্ন উঠছে। কারও মতে, নেপথ্যে রয়েছে মোসাদ, ইরানের ভেতরে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, উল্কাপাতে হেলিকপ্টার বেসামাল ইত্যাদি সব তত্ত্ব। তবে বেশিরভাগের আঙুল ইসরায়েলের দিকেই।
এইচআ/