রবিবার, ৯ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ১৫ জেলায় নতুন ডিসি *** জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন *** খালেদ মুহিউদ্দীনের ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে উদ্বেগ কেন? *** প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানালে আমরা যাব, অন্য দলকে দিয়ে আহ্বান কেন: সালাহউদ্দিন *** দেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান কী *** কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান *** রাজশাহীর প্রশংসা উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের, এড়িয়ে গেলেন নির্বাচন প্রসঙ্গ *** আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে: শফিকুল আলম *** দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর *** আওয়ামী লীগের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপ!

ফেসবুকে ভিউ বাড়াতে ময়মনসিংহে এক শিক্ষকের কাণ্ড

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:২৪ অপরাহ্ন, ৩রা নভেম্বর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুকে ভিউ বাড়ানোর জন্য রামদা হাতে একটি ভিডিও করে তা আপলোড করেছেন এক শিক্ষক। গতকাল রোববার (২রা নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

জানা যায়, রাহাত হোসাইন শাকিল তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে রামদা হাতে নিয়ে ধারণকৃত একটি ভিডিও রোববার বিকেলে আপলোড করেন। সেই ভিডিও নেটিজনদের মাঝে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। সিংহভাগ নেটিজেন সমালোচনার ঝড় তুলেন।

তিনি উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। পৌর শহরের নিমতলি মহল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন চুন্নুর পুত্র তিনি।

ধারণ করা সেই ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমিও প্রস্তুত আছি এবং ঠাণ্ডা মাথায় কথাগুলো বলছি। যেখানে আজ আব্বাই নেই, সেখানে মাথা রাখার ঠাঁই না থাকাটাই স্বাভাবিক। আল্লাহ ভরসা।’

ভিডিওর বিষয়ে জানতে শিক্ষক রাহাত হোসেন শাকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে তার স্ত্রী সুমি আক্তার জানান, ফেসবুক মনিটাইজেশন পেলেও সে লাইক-কমেন্ট পাচ্ছিল না। তাই মজা করেই এ ভিডিও করেছিল। যাতে ভিউ বাড়ে। যখন সমালোচনা শুরু হয় তখনই পোস্ট ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, রাহাত হোসাইন আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। গত বৃহস্পতিবার তিনি ছুটি নিয়েছেন। কেন এমন ভিডিও করলেন, তা জানা নেই।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনজুমান আরা বেগম জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিষয়ে শিক্ষকদের বিধিনিষেধ আছে। তিনি ইচ্ছা করলেই এমন ভিডিও দিতে পারেন না। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আমিন পাপ্পা বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জে.এস/

সহকারী শিক্ষক

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250