ছবি: সংগৃহীত
শেষ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ধর্মীয় অনুষ্ঠান মহাকুম্ভ। ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে (সাবেক এলাহাবাদ) গঙ্গা, যমুনা ও অন্তঃসলীলা সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে বুধবার (২৬শে ফেব্রুয়ারি) শিবরাত্রির দিন শেষ অবগাহনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটতে চলেছে ৪৫ দিনব্যাপী মহাকুম্ভের। পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৫শে ফেব্রুয়ারি) রাত দুইটা থেকে শুরু হয় শেষ তিথির স্নান। বুধবার দিনাবসানের মধ্য দিয়ে তা শেষ হতে চলেছে। শেষ দিন সঙ্গমে জড়ো হওয়া পুণ্যার্থীদের ওপর আকাশ থেকে বর্ষিত হয় ফুলের পাপড়ি। এত দিন ধরে এত মানুষের উপস্থিতিতে এমন ধর্মীয় আচার ভারতে আগে কখনো হয়নি।
এবারের মহাকুম্ভ শুরু হয়েছিল ১৩ই জানুয়ারি, পৌষপূর্ণিমার পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে। পরদিন ১৪ই জানুয়ারি ছিল মকরসংক্রান্তি। তার পরের পুণ্য তিথি ছিল ২৯শে জানুয়ারির মৌনী অমাবস্যা, যেদিন ঘটে যায় পদপিষ্ট হওয়ার মতো দুঃখজনক ঘটনা। ওই দুর্ঘটনাও পুণ্যার্থীদের স্রোত কমাতে পারেনি।
বসন্তপঞ্চমী (৩রা ফেব্রুয়ারি), মাঘীপূর্ণিমা (১২ই ফেব্রুয়ারি) এবং ২৬শে ফেব্রুয়ারির শিবরাত্রির দিন শাহি স্নান উপলক্ষে কোটি কোটি মানুষ প্রয়াগরাজে ভিড় করেন। কোটিপতির সঙ্গে সাধারণ মানুষ, খ্যাতনামার পাশাপাশি অখ্যাত–অজ্ঞাত সবাই মিলেমিশে অবগাহন করেছেন সঙ্গমে।
এবার মহাকুম্ভ শুরুর আগে থেকেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন, দেশ–বিদেশের ৪০ কোটি পুণ্যার্থী সঙ্গমে ডুব দেবেন। বুধবার শেষ দিনের স্নান শুরুর আগে সরকারি ঘোষণায় জানা যায়, প্রয়াগরাজে উপস্থিত জনতার সংখ্যা ৬৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এই বিশাল উদ্যাপন পুরোপুরি কুসুমকোমল না হলেও উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ অবশ্যই সাফল্যের দাবি করতে পারেন।
১২ বছর অন্তর মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হলেও এবার গ্রহ–নক্ষত্রের অবস্থান মহাকুম্ভকে অনন্য করে তুলেছে। শেষবার এমন হয়েছিল ১৪৪ বছর আগে। সেই কারণে ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের কাছে এবারের মহাকুম্ভের আকর্ষণ ছিল দুর্নিবার। কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকার তাই এবার চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখেনি। এত বছর ধরে মহাকুম্ভের আয়োজন হলেও এই প্রথম তা হলো উত্তর প্রদেশ ও কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের আমলে।
হা.শা./কেবি