ছবি : সংগৃহীত
বেশিরভাগ মানুষের জীবনে বিয়ে একবারই হয়। একজন জীবনসঙ্গীর সঙ্গেই সারাজীবন কাটিয়ে দেন সুখে শান্তিতে। তবে অনেকের মতের অমিল কিংবা বোঝাপড়ার সমস্যার কারণে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তারা পুনরায় বিয়ে করে সুখী জীবন কাটান।
তবে কোনো দুর্ঘটনা নয়, শখেও অনেকে বিয়ে করেন। বিয়ে যে কারো শখ হতে পারে তা হয়তো অনেকে বিশ্বাস করতে চাইবেন না। তবে এমন একজন মানুষ আছেন যিনি সর্বোচ্চ সংখ্যক বিয়ে করে রেকর্ড গড়েছিলেন। জীবনে ৩১ বার বিয়ে করেছিলেন। ২৯ জন স্ত্রী ছিল তার। চোর থেকে পুলিশ, চিকিৎসক সব পেশার নারীকেই বিয়ে করেছিলেন তিনি।
১৯২৬ সালে গ্লিন উলফ এর বিয়ে করার যাত্রা শুরু হয়। তখন তার বয়স মাত্র ২২ বছর। সে সময় তিনি আমেরিকার ইন্ডিয়ানার কাছেই একটি হাইস্কুলের ছাত্রী হেলেনাকে দেখে তার প্রেমে পড়েন এবং তাকে বিয়ে করেন। গ্লিনের কোনো কোনো বিয়ে টিকে ছিল কয়েক বছর, কোনো বিয়ে কয়েক মাস, কোনো বিয়ে আবার মাত্র কয়েক দিনের জন্য।
আরো পড়ুন : বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবার : ১২ স্ত্রী, ১০২ সন্তান, ৫০০র বেশি নাতি-নাতনি
হেলেনকে বিয়ে করার কয়েক মাস পর তিনি তাকে তালাক দেন এবং মার্জোরিকে বিয়ে করেন, যাকে তিনি কয়েক মাস পর তালাক দেন। এরপর আসেন মার্গি, তার পরে তার বান্ধবী মিলড্রেড। একবার অতিরিক্ত মদ্যপান করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গ্লিন। তখন নার্সকে তিনি বলেছিলেন তিনি প্রিসেন্স ডায়নাকে বিয়ে করতে চান। এমনকি তা নিয়ে এমন জোরাজুরি শুরু করেন যে তার প্যানিক অ্যাটাক হয়ে যায়। প্রিসেন্স ডায়নাকে বিয়ের স্বপ্ন পূরণ না হলেও সেই যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পান গ্লিন। তার মৃত্যু হয় ৮৯ বছরে, তখনো তিনি ছিলেন মাদকাসক্ত।
গ্লিনের ২৯টি স্ত্রীর মোট ১৯ জন সন্তান ছিল। কিন্তু শেষ জীবন তার এতটাই নিঃসঙ্গ ছিল যে, জন উলফ নামের ৩৩ বছর বয়সী এক সন্তান ছাড়া কেউই তাকে সমাধিস্থ করতে আসেননি। কোনো স্ত্রী, সন্তান এমনকি কোনো আত্মীয়স্বজনও আসেননি গ্লিনকে শেষ বিদায় দিতে। ২৯ স্ত্রীর মধ্যে ২৮ নম্বর স্ত্রীর সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি দিন সম্পর্কে ছিলেন গ্লিন, ১১ বছর। সেই স্ত্রীর নাম ক্রিস্টিন ক্যামাচো।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড
এস/ আই.কে.জে/