ছবি : সংগৃহীত
খাওয়ার পর অন্তত ১০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ শরীর সুস্থ রাখতে হাঁটার বিকল্প নেই। অনেকেই ফিট থাকতে সকাল-সন্ধ্যা দু’বেলা নিয়ম করে হাঁটেন।
একটানা ঘণ্টা দুয়েক বসে থাকলেই গ্লুকোজ, ট্রায়াসিলগ্লিসারল ও উচ্চ-ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে। যা কার্ডিওমেটাবলিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
স্পোর্টস মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত একটি মেটা-বিশ্লেষণে জানা গেছে, হার্টের স্বাস্থ্য, ইনসুলিন ও রক্তে শর্করার মাত্রার উপর বসা ও দাঁড়ানো বা হাঁটার উপর নির্ভর করে। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার মধ্যে সামান্য দাঁড়ানো বা হাঁটাকে সেডেন্টারি ব্রেক বলা হয়।
নিয়মিত এই ব্রেক নিলে রক্তচাপ, এইচডিএল কোলেস্টেরল, ইনসুলিন, গ্লুকোজ, ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোমরের পরিধি কমবে। ঠিক একইভাবে খাওয়ার কিছুক্ষণ পর অন্তত ১০ মিনিট হাঁটলেও একই উপকারিতা মিলবে।
আরো পড়ুন : জাপানিদের কেন বয়স বাড়ে না
হাঁটা হজমশক্তি উন্নত করে
খাওয়ার পর হাঁটলে তাৎক্ষণিক হজমশক্তির উন্নতি ঘটে। হাঁটার কারণে মৃদু নড়াচড়ায় পাচনতন্ত্র উদ্দীপিত হওয়ায় খাবার দ্রুত হজম হয়। গ্যাস্ট্রোএন্টেরল ও হেপাটোলজি জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের পরে হালকা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, পেট ফুলে যাওয়া ও বদহজমের ঝুঁকি কমাতে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
খাবারের পরে হাঁটাহাঁটি করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্পোর্টস মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত মেটা-বিশ্লেষণের তথ্য অনুযায়ী, হার্টের স্বাস্থ্য, ইনসুলিন ও রক্তে শর্করার মাত্রার উপর বসা ও দাঁড়ানো/হাঁটার উপর নির্ভর করে। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার তুলনায় ঘন ঘন দাঁড়ানো কিংবা সামান্য হাঁটাহাঁটি করা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ওজন কমে
খাবারের পরে অল্প হাঁটলেও অনেকটা ক্যালোরি পোড়ে। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব জেনারেল মেডিসিন’ এ প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, এই অভ্যাস বিপাক বাড়ায়। ফলে ওজনও কমতে শুরু করে।
হৃদযন্ত্র ভালো থাকে
নিয়মিত হাঁটলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। এই অভ্যাসের কারণে রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি ঘটে ও রক্তচাপ কমে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ এমনকি হাঁটাহাঁটি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে
হাঁটার সুবিধা শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, বরং মানসিক সুস্থতাও বজায় রাখে। ১০ মিনিটের জন্য হাঁটলেও এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে।
‘স্পোর্টস মেডিসিন’ এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীরা যারা খাবারের পরে হাঁটাহাঁটি করেছেন, বসে থাকা ব্যক্তিদের তুলনায় তারা কম চাপ ও বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এস/ আই.কে.জে