ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন কক্ষে এক জরুরি বৈঠক করেছেন। ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট স্থায়ী এ বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল একান্ত মিত্র ইসরায়েলের হয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় দেশটি হামলা চালাবে কি না সেটি। খবর সিবিএস নিউজের।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ই জুন) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে আলোচনা হয়।
তবে ইরানে হামলায় আমেরিকার অংশগ্রহণ করা নিয়ে জরুরি বৈঠকে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের মধ্যে পুরোপুরি মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে জানা গেছে। কয়েক দিন ধরে ট্রাম্প ইরানকে আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
এদিকে জরুরি বৈঠকে আমেরিকার সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর একটি হিসেবে ইরানের ফোরদো শহরে অবস্থিত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের নাম উঠে আসে। এটি ভূগর্ভে অবস্থিত, যা শুধু আমেরিকার একটি বিশেষ ধরনের বোমাই ধ্বংস করতে সক্ষম বলে মনে করা হয়।
আমেরিকা ও ইসরায়েলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, গতকাল বৈঠক শেষে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। তবে তাদের কী নিয়ে কথা হয়েছে, সে বিষয়ে জানা যায়নি।
গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ দাবি করেন। ট্রাম্পের পোস্টের জবাবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও রাতেই একাধিক পোস্টে জানিয়ে দেন, ‘জায়োনিস্টদের সঙ্গে কোনো আপস নয়। ইরান কখনোই সমঝোতা করবে না।’
ইসরায়েল গতকাল পর্যন্ত পাঁচ দিনে ইরানের সেনাপ্রধান, আইআরজিসির প্রধানসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে। এ ছাড়া ইরানের কয়েকজন পরমাণুবিজ্ঞানীকেও হত্যা করা হয়েছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনা। দেশটির আরও ১০টি পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ।
আয়াতুল্লাহ খামেনিকেও হত্যার হুমকি দিয়ে কাৎজ বলেছেন, ‘ইরানের প্রতিবেশী দেশের স্বৈরশাসকের সঙ্গে কী হয়েছিল, তা স্মরণ করতে পারেন খামেনি।’ এ স্বৈরশাসক বলতে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিহত সাদ্দাম হোসেনের দিকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
কয়েক মাস ধরে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘পাল্টা হামলার’ হুমকি দিয়ে আসছিল ইরান। এর মধ্যে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়েও পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ বেড়ে যায়।
আরএইচ/
হোয়াইট হাউস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান-ইসরায়েল সংকট ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
খবরটি শেয়ার করুন