বৃহস্পতিবার, ৯ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাজশাহীতে আ.লীগ নেতার তিন ছেলে-মেয়ের জামিন *** খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও হামলার ঘটনায় আজ তথ্যানুসন্ধান দল পাঠাচ্ছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি *** শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ভিসা জটিলতা দূর করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার *** ৭ বছর পর জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে খালেদা জিয়া *** একাধিক দেশের পাসপোর্টধারী ও নাগরিক বলে কাকে ইঙ্গিত করলেন উপদেষ্টা *** তেজগাঁওয়ে হোলি রোজারি চার্চের সামনে বুধবার যা ঘটল *** ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান বন্ধের চেষ্টা, পুলিশের হস্তক্ষেপ *** দুদকের মামলার আসামি হওয়ার একদিন পর ট্রাইব্যুনালের ‘বিচারক’ *** ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের বক্তব্য ‘অযৌক্তিক’: তৌহিদ হোসেন *** ১৫–১৮ই নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্ভব, হিসাব দিলেন জামায়াত নেতা তাহের

কীভাবে সুন্দর করে কথা বলবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, ৬ই জুলাই ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

রবীন্দ্রসাধক ওয়াহিদুল হকের কথা- ‘কথা মানুষকে কাছে টানে, কথা মানুষকে দূরে ঠেলে দেয়। কথা মানুষকে বন্ধু করে। কথা মানুষকে শত্রু করে।’  এটা শুধু কথা নয়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যাপন থেকেও আমরা হামেশাই উপলব্ধি করতে পারি, মানুষের সঙ্গে মানুষের সংযোগ এবং মানুষের কাছে নিজেকে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে কথা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কথা যদি হয় সুন্দর ও সাবলীল, তাহলে তা মানুষের ব্যক্তিত্বে দান করে অন্য রকম সৌকর্য। আবার সেই কথাই যদি হয় জড়ানো ও অসম্পূর্ণ, তাহলে তা মানুষের ব্যক্তিত্বকে করে দেয় ম্লান। বক্তৃতা হোক বা নিবিড় কোনো আলাপচারিতা—সুন্দর করে কথা বলা মানুষের কদর সর্বত্র। তাই জানা দরকার কীভাবে সুন্দর করে কথা বলবেন?

শুধু সুন্দর করে কথা বলতে না পারার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে নিজের পেশাগত ও ব্যক্তিজীবনেও। কারণ, নিজেকে ঠিকভাবে তুলে ধরা এবং মনের ভাব বা বক্তব্য প্রকাশ করার প্রথম ধাপই হলো কথা।

আবৃত্তিকার মাসকুর-এ-সাত্তার বলেন, মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগের প্রধান অবলম্বন হচ্ছে কথা। চর্চা বা অনুশীলনের মধ্য দিয়ে সুন্দর করে কথা বলার অভ্যাস করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কোনোক্রমেই তা যেন আরোপিত বা কৃত্রিম না হয়ে যায়।

সুন্দর করে কথা বলার বেশ কিছু কৌশল বা ধাপ আছে, যার কিছু কিছু চর্চার মাধ্যমে আয়ত্ত করতে হয়, আর কিছু কিছু গড়ে ওঠে নিজের জীবনাচরণ ও বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। চলুন ধাপগুলোর সঙ্গে পরিচিত হই।

আরো পড়ুন : চাকরি নাকি মাস্টার্স? সুযোগ পেলে কোনটি করবেন

শুদ্ধ ও স্পষ্ট উচ্চারণ

প্রথমেই আসে শুদ্ধ ও স্পষ্ট উচ্চারণ। ভুলভাল উচ্চারণ ও অস্পষ্টতা বদলে দেয় শব্দের অর্থ। এ ধরনের ভুল শ্রোতার ভেতরে বিরক্তির সৃষ্টি করে এবং বক্তাও হয়ে ওঠেন বিরক্তিকর।

আরামদায়ক গতি

কথা বলার সময় বাক্‌প্রত্যঙ্গে জড়তা থাকলে বা তাড়াহুড়া করে বলার প্রবণতা থাকলে উচ্চারিত শব্দগুলো সম্পূর্ণ হয় না। এতে কথা থেকে যায় অস্পষ্ট। কথার ভেতরে শব্দগুলো যেন পূর্ণ ও স্পষ্ট শোনা যায়, সেদিকে লক্ষ রাখা দরকার। আবার বেশি ধীরগতিও একধরনের জড়তা, যা বক্তার প্রতি শ্রোতার মনোযোগ নষ্ট করে, বক্তব্যকে করে তোলে একঘেয়ে।

বক্তব্য হবে পরিষ্কার ও সংক্ষিপ্ত

কথা বলার সময় দীর্ঘ বর্ণনা, ব্যাখ্যা বা অপ্রাসঙ্গিক বিবরণ এড়িয়ে চলা উচিত। শ্রোতার আগ্রহ ধরে রাখার জন্য বক্তব্য সংক্ষিপ্ত ও সুনির্দিষ্ট হওয়া ভালো। বিশেষ করে পেশাগত ক্ষেত্রে। অকারণ এলোমেলো কথা বলতে থাকলে মূল বক্তব্য হারিয়ে যায়, শ্রোতাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।

কথার ফাঁকে রসবোধ

একটানা গুরুগম্ভীর কথা শুনতে ভালো লাগে না। রসকষবিহীন কাঠখোট্টা মানুষ বা আলাপ—কোনোটাই আমাদের ভালো লাগে না। বরং কথার ফাঁকে ফাঁকে হালকা একটু হাসির কথা, মজার কোনো ঘটনা বা কৌতুক, বন্ধুত্বপূর্ণ অভিব্যক্তি ইত্যাদি বক্তার সরসতা প্রকাশ করে। তবে অবশ্যই সেই মজার কথা হতে হবে প্রাসঙ্গিক, শালীন ও বুদ্ধিদীপ্ত।

আপনি যখন কথা বলছেন, তখন শ্রোতা কী শুনতে চান, কীভাবে শুনতে চান, সেটি বোঝাও জরুরি। শ্রোতার মনোযোগ ধরে রাখতে না পারলে তার কাছে যেকোনো কথার উপস্থাপন বৃথা হয়ে যেতে পারে।

এস/ আই.কে.জে

কথা নেতিবাচক প্রভাব

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250