ছবি: সংগৃহীত
তরুণ প্রজন্মকে ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম অভিহিত’ করে প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদেরকে কল্পনা করতে, বড় স্বপ্ন দেখতে এবং নিজেদেরকে ‘তিন-শূন্য মানুষ’ হিসেবে গড়ে তুলতে উৎসাহিত করেছেন।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২৪শে এপ্রিল) কাতারের রাজধানী দোহায় কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘তিন শূন্যের পৃথিবী’ শিরোনামে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। খবর বাসসের।
প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি যখন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাই, তখন খুবই স্বস্তি বোধ করি। আমি নিজেকে তরতাজা অনুভব করি। তোমরা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম। আমি আন্তরিকভাবে তা বিশ্বাস করি। তোমরাই সুপারম্যান আর সুপারওম্যান।’
অধ্যাপক ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার জনক এবং ২০০৬ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পান। তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, এমন কিছু করো না, যা ধনসম্পদের কেন্দ্রীকরণে অবদান রাখে। বরং কল্পনা করো এবং স্বপ্ন দেখো এমন একটি নতুন পৃথিবী গড়ার, যেখানে আত্মবিধ্বংসী পদ্ধতির কোনো স্থান নেই।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অধ্যাপক ইউনূসকে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে অসামান্য অবদানের জন্য সম্মানসূচক অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। নোবেল বিজয়ী ও ‘ব্যাংকার টু দ্য পুওর’ বইয়ের লেখক অধ্যাপক ইউনূস তার বক্তব্যে একটি উদীয়মান নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেন, যা মানবজাতি এবং পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তোমাকে অবশ্যই স্বপ্ন দেখতে হবে, কল্পনা করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি তুমি কল্পনা করো, সেটা তোমাকে সাহায্য করবে। কল্পনাকে অবহেলা করো না।’
অধ্যাপক ইউনূস তার ‘তিন শূন্য’ ভাবনার কথা তুলে ধরেন— শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ। তিনি ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে এ প্রজন্ম আত্মবিধ্বংসী সভ্যতা থেকে বেরিয়ে এসে পরিবেশের রক্ষক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
এইচ.এস/