ছবি: সংগৃহীত
জর্ডান সরকার দেশটির ইসলামপন্থী গোষ্ঠী মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি রকেট ও ড্রোন হামলার ষড়যন্ত্র সন্দেহে এ গোষ্ঠীর কয়েক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিল জর্ডানের নিরাপত্তা বাহিনী। এর এক সপ্তাহ পরেই দেশটির পক্ষ থেকে এ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হলো। খবর বিবিসির।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার (২৩শে এপ্রিল) একটি সংবাদ সম্মেলনে জর্ডানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাজেন আল-ফারায়া এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, মুসলিম ব্রাদারহুডের সব কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হবে ও তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। এখন থেকে জর্ডানে এ গোষ্ঠীর সব ধরনের কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
এ ঘোষণার বিষয়ে মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে গোষ্ঠীটি হামলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
‘ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্ট’ (আইএএফ) জর্ডানের পার্লামেন্টের বৃহত্তম বিরোধী দল। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা আইএএফের ওপর কী প্রভাব পড়বে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফারায়ার ঘোষণার পর তাদের সদর দপ্তরে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্টের মহাসচিব ওয়ায়েল সাক্কা জোর দিয়ে বলেছেন, এটি একটি স্বাধীন রাজনৈতিক দল এবং অন্য কোনো সাংগঠনিক সংস্থার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় শৃঙ্খলা, আইন ও সংবিধান মেনে চলি।’
২০২০ সালে জর্ডানের শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিলেন, মুসলিম ব্রাদারহুড ‘বিলুপ্ত’ হয়ে গেছে। কারণ, তারা তাদের আইনি অবস্থান স্পষ্ট করেনি। গোষ্ঠীটি তাদের রাজনৈতিক ও অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। গত বছরের সংসদ নির্বাচনে ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্ট অংশ নিয়ে ১৩৮টি আসনের মধ্যে ৩১টিতে জয়ী হয়।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১০০ বছর আগে মিসরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মুসলিম ব্রাদারহুড। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর স্থানীয় শাখা রয়েছে। এ গোষ্ঠীর অন্যতম লক্ষ্য হলো, ইসলামিক আইন বা শরিয়া দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। মিসর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ছাড়াও বেশ কয়েকটি আরব দেশে সংগঠনটি নিষিদ্ধ। এসব দেশের সরকার মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন