বৃহস্পতিবার, ১০ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** দেশি-বিদেশি ফলের উৎপাদন দেশে ক্রমাগতভাবে বাড়ছে *** জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি তদারকি করবে ইসির উচ্চপর্যায়ের পাঁচ কমিটি *** উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের খসড়া অনুমোদন *** ফের গ্রেপ্তার দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল *** আজীবন গোল্ডেন ভিসার খবরটি গুজব, জানাল আরব আমিরাতের সরকার *** দুই জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা *** নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতার পরিবর্তন হবে: মির্জা ফখরুল *** মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করে ‘রাজসাক্ষী’ হলেন সাবেক আইজিপি মামুন *** ইতিহাস গড়ে মেসির অন্য রকম ‌‌‘সেঞ্চুরি’ *** ৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসএসসিতে শতভাগ পাস

নির্বাচন ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে, প্রস্তুতি এখন থেকেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১২:১৫ পূর্বাহ্ন, ১০ই জুলাই ২০২৫

#

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার (৯ই জুলাই) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। ছবি: পিআইডি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বুধবার (৯ই জুলাই) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকের পরে রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতির সার্বিক বিষয়ে বৈঠকে পর্যালোচনা হয় এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

শফিকুল আলম আরও জানান, প্রথম নির্দেশনা ছিল যে, আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক যত প্রস্তুতি নির্বাচনকে ঘিরে, সব প্রস্তুতি এ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। তিনি আরও জানান, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে হবে। এর অর্থ হলো, নির্বাচনের জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দরকার, তার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে হবে।

প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে প্রেস সচিব জানান, অনেক বিষয় আছে, যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ১৭ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হবে। এ নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড নিয়োগ, ট্রেনিং প্রক্রিয়া যাতে ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার অনেক পাঁয়তারা হয়। তাই নির্বাচন সামনে রেখে আগামী মাসগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে, সে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি জানান, আট লাখের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের সবাইকে ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রশিক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা হবে, এটা একটা ইস্যু। সীমান্ত এলাকায় কীভাবে মোতায়েন হবে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে হবে, কতজন আনসার সদস্য থাকবেন, কতজন পুলিশ সদস্য থাকবেন, বিজিবি বা সেনাবাহিনী কীভাবে থাকবে, সেগুলো নিয়ে মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বলা হয়েছে যে, ৪৭ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র থাকবে এবং তারা অ্যাসেসমেন্ট করে দেখেছেন যে, ১৬ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটটা সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেটা নিয়ে বুধবার অনেক বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

শফিকুল আলম আরও বলেন, পুলিশের বডি ক্যামেরা রাখা এবং প্রত্যেকটা কেন্দ্র যাতে সিসিটিভির আওতায় আসে, সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভিগুলোর মনিটরিংটাও যাতে ঠিকমতো হয়, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে বলেছেন। নির্বাচনের সময় যে নির্বাহী হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন, অনেক সময় এ ভোট বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণের অভাব থাকে। তাদের কীভাবে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুত করা যায়, সে বিষয়ে নির্দেশনা এসেছে।

আগে নির্বাচনের সময় চারদিন পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী অতিরিক্ত মোতায়েন করা হতো জানিয়ে তিনি জানান, এবার বলা হচ্ছে যে, এটাকে কীভাবে সাতদিনের জন্য মোতায়েন করা যায়। যাতে ভোটের আগে সব ধরনের সহিংসতা প্রতিহত করা যায় এবং ভোটের পরেও যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট না হয়। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে ডিসি, এসপি, ওসিদের পুনর্বিন্যাসের কথা বলা হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন