প্রতীকী ছবি
সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের বরাতে সুখবর ডটকমসহ দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়—ভারতীয় ও বাংলাদেশিদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি নতুন ধরনের গোল্ডেন ভিসা চালু হয়েছে। বলা হয়, মনোনয়ন-ভিত্তিক হওয়ায় এ ভিসা পেতে আর ব্যবসা বা সম্পত্তিতে বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে না।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘ফেডারেল অথোরিটি ফর আইডেনটিটি, সিটিজেন শিপ, কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট সিকিউরিটি’ (আইসিপি) বিষয়টিকে গুজব হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমসের।
আইসিপি সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমিরাতের সরকার নেয়নি। গোল্ডেন ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া, শর্তাবলি ও প্রযোজ্য শ্রেণিবিন্যাস সরকার নির্ধারিত আইন, বিধি ও মন্ত্রীপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এসব তথ্য পাওয়া যাবে শুধু কর্তৃপক্ষের সরকারি ওয়েবসাইট ও স্মার্ট অ্যাপে।
সংস্থাটি আরও স্পষ্ট করেছে—সব ধরনের গোল্ডেন ভিসা আবেদন শুধু ইউএই-এর সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমেই করা যায়। কোনো দেশি বা বিদেশি পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে অনুমোদিত নয়। কিছু বিদেশি কনসালটেন্সি অফিসের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছিল যে, তারা নাকি ইউএই-এর বাইরে থেকেও সব শ্রেণির মানুষের জন্য আজীবন গোল্ডেন ভিসা সংগ্রহ করে দিতে পারবে। এমন দাবির কোনো আইনি ভিত্তি নেই এবং এগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো সমন্বয় ছাড়াই করা হয়েছে।
আইসিপি জানিয়েছে, এমন ভুল তথ্য দিয়ে যারা ভিসা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুবাই-ভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রায়াদ গ্রুপ একটি বিবৃতিতে স্বীকার করেছে, তাদের প্রচারিত ‘আজীবন গোল্ডেন ভিসা’ বিষয়ক তথ্য ছিল ভুল ও বিভ্রান্তিকর। তারা পুরো ঘটনার জন্য দায়িত্ব স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে।
ভুল তথ্যটি প্রথমে রায়াদ গ্রুপ থেকে প্রকাশিত হয় এবং পরে ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই সহ আরও কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দাবি করা হয়েছিল, প্রায় ৩৩ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ থেকে ইউএই গোল্ডেন ভিসা পাওয়া সম্ভব। অথচ আইসিপি জানায়, এ দাবি ভিত্তিহীন এবং এতে শুধু কোম্পানির পরিষেবা ফি-এর বিষয়টি চতুরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল।
খবরটি শেয়ার করুন