ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিন দুই হাজার মানুষ দ্বীপে যাওয়ার সুযগ পেলেও প্রথম দিনে গেছেন প্রায় অর্ধেক।
আজ সোমবার (১লা ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে তিনটি জাহাজ নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট ছেড়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে কয়েক মাসের নিষেধাজ্ঞার পর টেকনাফ থেকে দ্বীপের মধ্যে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হলো।
সরকারি ১২ দফা নির্দেশনা মেনে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ট্যুরিস্ট পুলিশের কড়া তল্লাশি শেষে জাহাজে ওঠেন ১ হাজার ১৭৪ জন পর্যটক। দীর্ঘ বিরতির পর দ্বীপে যেতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা।
সি ক্রুজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানান, চলাচলের জন্য ছয়টি জাহাজ অনুমোদন পেলেও আজ তিনটি জাহাজ ছেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, সরকারিভাবে দিনে দুই হাজার পর্যটক যাতায়াতের অনুমতি থাকলেও স্কুলে পরীক্ষা ও অন্যান্য কারণে আজ ১ হাজার ১৭৪ জন পর্যটক গেছেন। এর মধ্যে 'কর্ণফুলী' ও 'বার আউলিয়া' জাহাজ দুটি প্রায় ৯৫০ জন যাত্রী নিয়ে পূর্ণ ধারণক্ষমতায় ছেড়ে গেছে। যাত্রী সংকটের কারণে অন্য জাহাজগুলো আজ চলাচল করবে না।
হোসাইনুল ইসলাম আরও জানান, অনুমোদিত অন্য জাহাজগুলোও পর্যায়ক্রমে চলাচল শুরু করবে। তাদের জাহাজে আগামী ৫ই থেকে ২৬শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
এদিকে সরকারি অনুমোদনকৃত ট্রাভেল পাস ছাড়া টিকিট বিক্রির দায়ে 'কেয়ারি সিন্দাবাদ' জাহাজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াসমিন।
এ বিষয়ে কেয়ারি গ্রুপের পরিচালক আবদুল্লাহ আল সাইদ বলেন, যাত্রীরা শেষ মুহূর্তে ফিরতি টিকিট নিয়ে ঘাটে এসেছিলেন, কিন্তু তাদের যাওয়ার টিকিট ছিল না। সকাল সাতটায় সার্ভার জটিলতার কারণে কিউআর কোডসহ পাস ইস্যু করা সম্ভব হচ্ছিল না।
যাত্রীদের সহযোগিতা করতে গিয়েই জরিমানার মুখে পড়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
খবরটি শেয়ার করুন