ছবি : সংগৃহীত
অনেক সময় চলন্ত গাড়ির ব্রেক ফেলের ঘটনা ঘটে থাকে। এতে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটে। তবে তাৎক্ষণিক না ঘাবড়ে মাথা ঠান্ডা রেখে কিছু পদক্ষেপ নিলেই বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়া যে কোনও দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় না ঘাবড়ানো। বরং মাথা ঠান্ডা রেখে কয়েকটা উপায় প্রয়োগ করলে নিজের ও অন্যের জীবন বাঁচবে। অর্থাৎ গাড়ির ‘ব্রেক ফেল’ হলে ঘাবড়াবেন না, মাথায় রাখুন ৫ উপায়-
অ্যাক্সিলারেটর ও ব্রেক
গাড়ির ব্রেক ফেল করলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে নিতে হবে। এতে গাড়ির গতি ধীরে ধীরে কমে যাবে। এর সঙ্গে ক্লাচ চাপা যাবে না। কারণ এতে গাড়ি মসৃণভাবে চলে।
গিয়ার পরিবর্তন করতে হবে
চালকের দ্বিতীয় কাজ হবে, গাড়িকে ফার্স্ট গিয়ারে নিয়ে আসা। গিয়ার বদলানোর সময় ক্লাচ চাপা যাবে না। গাড়ি ফার্স্ট গিয়ারে আসার সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনে লোড দিতে হবে। এতে গাড়ির গতি কমতে শুরু করবে।
আরো পড়ুন : একটানা কতক্ষণ চলার পর সিলিং ফ্যানের বিশ্রাম প্রয়োজন?
ব্রেক প্যাডেল চাপতে হবে
ব্রেক ফেলের পরও ক্রমাগত ব্রেক প্যাডেল চেপে যেতে হবে। অনেক সময় ব্রেক আটকে যায়। বারবার ব্রেক প্যাডেল চাপলে ব্রেক আবার ঠিক হয়ে যেতে পারে।
হর্ন বাজিয়ে লাইট জ্বালাতে হবে
ব্রেক ফেল করলে সামনের যানবাহনগুলোকে সতর্ক করা জরুরি। এমন অবস্থায় একটানা হর্ন বাজিয়ে যেতে হবে। এর সঙ্গে হেডলাইট ও ইমার্জেন্সি লাইট অন করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে যাতে গাড়ি কিছুতে আঘাত না করে।
হ্যান্ডব্রেক টানতে হবে ধীরে ধীরে
এরপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল হ্যান্ডব্রেক টানা। তবে খুব ধীরে ধীরে। হ্যান্ডব্রেক লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে গতি কমতে শুরু করবে। মাথায় রাখতে হবে, গাড়ির গতি বেশি হলে সঙ্গে সঙ্গে হ্যান্ড ব্রেক টানা উচিত নয়, এতে গাড়ি উল্টে যেতে পারে।
এস/ আই.কে.জে/