ছবি : সংগৃহীত
প্রতিটা মেয়ে বিয়ের পর নতুন পরিবারে আসে, তখন কেবল স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক থাকে না; বরং সে বাধা পড়ে অনেকগুলো সম্পর্কের বন্ধনে। যুক্ত হয় অনেক নতুন মুখ, যার মধ্যে অন্যতম ননদ। কারণ তার সাথে সহজেই নতুন পরিবেশ, আশপাশের মানুষ এবং নিজের অনুভূতি নিয়ে কথা বলতে পারেন নববধূ। তাই ননদ-ভাবির সম্পর্ক মজবুত হওয়া জরুরী সবার আগে।
কিন্তু অনেক পরিবারে সমস্যার শুরু হয় এই ননদ-ভাবির সম্পর্কের জটিলতা থেকে। এদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকলে তার প্রভাব পড়ে নতুন বিবাহিত দম্পতির জীবনেও। তাই ননদ-ভাবির খুনসুটির সম্পর্ককে কীভাবে মজবুত করা যায়, সে বিষয়ে রইলো কিছু পরামর্শ।
একসঙ্গে সময় কাটান
বাড়িতে ননদ থাকা মানে সার্বক্ষণিক ঘোরাফেরার সঙ্গী পেয়ে যাওয়া। শপিং বা পার্লারে দুইজন একসঙ্গে যেতে পারেন। ভাবি হয়তো কেক বানাচ্ছেন, ননদ বেকিংয়ের সব উপকরণ এগিয়ে দিতে পারেন। স্বামী অফিসের চাপে সময় করতে পারছেন না! প্রিয় ননদটিকে সাথে নিয়েই ভাবি সিনেমা হলে গিয়ে ‘কোয়ালিটি টাইম’ কাটিয়ে আসতে পারেন।
প্রশংসা করুন
বাড়ির প্রবীণদের মুখে শোনা যায়, কথায় মন জয় করা যায়। সত্যিই কিন্তু তাই। ভাইয়ার কিনে দেয়া নতুন শাড়িতে ভাবিকে কেমন লাগছে জানান। কিংবা ভার্সিটির প্রেজেন্টেশনের পোশাকে ননদকে কতটা সাবলীল দেখালো তা বলতে পারেন। নিত্যকার এসব ছোট ছোট প্রশংসা বাক্যেই কিন্তু অপরপক্ষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা যায়। তাই বলে সবকিছুতেই বা অতিরিক্ত মাত্রায় প্রশংসা করতে যাবেন না। এতে ব্যাপারটা মেকি লাগতে পারে।
আরো পড়ুন : জীবনের মাঝপথে আয়ের পথ খুঁজছেন?
অভিনন্দনে ভাসান
ভাবির বানানো সন্ধ্যার চায়ের অপূর্ব স্বাদ নিয়ে ফেসবুকে একটা স্টোরি দিতে পারেন। অথবা, ছোট একটা নোটে জানাতে পারেন চাকরিতে প্রমোশন হওয়ায় আপনি তাকে নিয়ে কতটা গর্বিত। সাথে উপহার থাকলে তো কথাই নেই। শত অভিনন্দনের ভিড়েও আপনার এই সামান্য ‘কেয়ার’ ঐ মানুষটিকে বিশেষ অনুভব করাবে। ভাবি-ননদের সম্পর্ককে গাঢ় করতে এসব ছোট ছোট মুহূর্তের কোনো তুলনা নেই।
মতামত নিন
এর মাধ্যমে স্পষ্ট হবে যে, আপনার জীবনে তার মতামতের গুরুত্ব আছে। অপর ব্যক্তিটি নিজেকে বিশেষ এবং আপনার কাছের বলে মনে করেন কিনা। বাইরে কোথায় খেলে ভালো হয়, মত দিবে। কোন পোশাকের সঙ্গে কেমন জুতা মানাচ্ছে, তাও বলবে। আবার পরিবারের সদস্যদের বুঝতে এবং তাদের সাথে সমস্যা মেটাতে ননদ আর ভাবি হয়ে উঠতে পারেন একে অপরের ত্রাণকর্তা। এমনকি শাশুড়ির সাথে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে সেটি কাটিয়ে দিতেও সবার আগে এগিয়ে আসতে পারেন ননদই।
প্রয়োজনে সমঝোতা
বয়সে ছোট বলে ভাবি যেমন মাঝে মাঝে ননদকে ছাড় দেবেন। তেমনি ননদও এমন কিছু করবেন না যার মাধ্যমে ভাবিকে অসম্মান করা হয়। কারো অনুভূতিই যেন আঘাত না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর একসঙ্গে থাকলে খুনসুটি, ঝগড়া, মনকষাকষি হবেই। এমন পরিস্থিতি নিজেই সামলে নিন। স্বামী বা অন্য কাউকে এতে জড়াবেন না। ভাবি যখন পরিবারে বউ হয়ে আসেন, ননদের উচিত তাকে সাদরে গ্রহণ করে বন্ধুর মতো থাকা। আর ভাবির ক্ষেত্রেও অনুচিত পদে পদে ননদের দোষ ধরতে থাকা। সম্পর্কের বাঁধন মজবুত করতে দুজনের প্রচেষ্টাই প্রয়োজন।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
এস/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন