ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজায় দুই বছর ধরে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ১৭ হাজার শিশু এতিম হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পরিসংখ্যান ব্যুরো। মা-বাবাহীন এসব শিশুর মধ্যে ৩৬ শিশুকে লালন–পালন করছেন ফিলিস্তিনের খ্রিস্টান এক প্রবীণ দম্পতি।
রিদা আলিওয়া নামের প্রবীণ নারীকে দাদি বলে ডাকে এসব শিশু। তিনি বলেন, ‘এই শিশুদের যত্ন দরকার। তাদের খাবার, পানি এবং বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। আমি প্রতিদিন রাত ৩টায় উঠে তাদের খাওয়ানো ও গোসল করানোর কাজ করছি। এই বয়সে কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও আমি সবকিছুই করি।’ তথ্যসূত্র: আল জাজিরার।
ওই নারীর স্বামী হামিদ আলিওয়া বলেন, যুদ্ধের আশঙ্কা ও নিত্যপণ্যের অভাবের কারণে এই শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া কঠিন হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, ‘সারাক্ষণ ড্রোনের শব্দের কারণে আমরা সারারাত ঘুমাতে পারি না। আমরা আশঙ্কা করছি, আবারও যুদ্ধ শুরু হতে পারে।’
গত বুধবার জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার অন্তত এক-চতুর্থাংশ মানুষ প্রচণ্ড রকমের অনাহারে ভুগছেন। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫০০ জন অন্তঃসত্ত্বা নারীও আছেন। জাতিসংঘ বলেছে, অপুষ্টিজনিত এ সংকট গাজায় ‘পুরো এক প্রজন্মের ওপর’ ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ই অক্টোবর গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে উপত্যকাটিতে মানবিক সহায়তা প্রবেশের পরিমাণ বাড়ানোর কথা ছিল। সে অনুযায়ী প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার টন সহায়তা প্রবেশ করানোর কথা জাতিসংঘের।
তবে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি গত মঙ্গলবার বলেছে, প্রতিদিন গাজায় প্রায় ৭৫০ মেট্রিক টন খাবার পৌঁছাচ্ছে। কারণ, গাজায় ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন মাত্র দুটি ক্রসিং চালু আছে। এগুলো হলো দক্ষিণে কারেম আবু সালেম ও মধ্যাঞ্চলে আল-কারারা ক্রসিং। চুক্তি লঙ্ঘন করে রাফা ক্রসিং বন্ধ রেখেছে ইসরায়েল।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন