ছবি: সংগৃহীত
অভিনয় করে জগৎজোড়া খ্যাতি পেয়েছেন জেনিফার অ্যানিস্টন। তবে পেশাগত জীবনের মতো ব্যক্তিগত জীবনে সাফল্য পাননি অভিনেত্রী। হলিউড তারকা ব্র্যাড পিটের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন ২০০০ সালে, পাঁচ বছর পর বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে বাধ্য হন তারা। এরপর ২০১১ সালে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেতা ও নির্মাতা জাস্টিন থেরক্সের সঙ্গে। সে সম্পর্কও স্থায়ী হয়নি।
ওই দুই সংসারে কোনো সন্তানও হয়নি অ্যানিস্টনের। কাজ নিয়েই নাকি ছিল তার সব ব্যস্ততা। ব্র্যাড পিটের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছিল, অ্যানিস্টন নাকি সন্তানধারণের চেয়ে ক্যারিয়ারকে বেশি গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন। এ নিয়ে সমালোচনারও শিকার হতে হয়েছে অ্যানিস্টনকে। অনেকে তাকে ‘স্বার্থপর’ আর ‘কাজপাগল’ বলে গালমন্দ করেছেন।
বাধ্য হয়ে ২০১৬ সালে আত্মপক্ষ সমর্থন করে কলম ধরেন জেনিফার অ্যানিস্টন। হাফিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক লেখায় প্রথম প্রকাশ করেন, সন্তানধারণের চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
অভিনেত্রী লেখেন, ‘যারা সমালোচনা করছে, তারা আমার গল্পটা জানেই না। আমার পরিবার জানে, কাছের বন্ধুরা জানে, পরিবার গঠনের জন্য গত ২০ বছর আমি কত চেষ্টা করেছি। আমি তো জনে জনে গিয়ে আমার মেডিকেল সমস্যার কথা বলতে পারব না! অথচ, দিনের পর দিন শুনে আসছি, আমার সন্তান হবে না, পরিবার হবে না। কারণ, আমি স্বার্থপর, কাজপাগল! এসব কথা আমাকে কষ্ট দেয়। কারণ, দিন শেষে আমিও একজন মানুষ।’
২০২২ সালে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, সন্তানধারণের জন্য আইভিএফ পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন তিনি। চায়নিজ চা পানসহ নানা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু ফল পাননি। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসক তাকে জানিয়ে দিয়েছেন, আর মা হতে পারবেন না তিনি।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে তাকে প্রশ্ন করা হয়, অনেক তারকাই এখন সন্তান দত্তক নেন। তিনি কেন এ পথে যাননি? উত্তরে অভিনেত্রী জানান, দত্তক নেওয়ার বিষয়টি তার পছন্দের নয়। ৫৬ বছর বয়সী অ্যানিস্টন বলেন, ‘দত্তক না নেওয়ার কারণ, আমি চেয়েছি, আমার সন্তানের মধ্যে আমার ডিএনএ থাকুক। এটা হয়তো স্বার্থপর চিন্তাভাবনা মনে হতে পারে। কিন্তু আমি এটাই চেয়েছি।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন