ফাইল ছবি
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এখন থেকে শুধু সুইস-ইতালীয় নন, তিনি একজন লেবাননের নাগরিকও! লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এই নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপিকে খবরটা নিশ্চিত করেছেন লেবানন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এলএফএ) প্রধান হাশেম হায়দার।
হাশেম হায়দার এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যেই ইনফান্তিনোকে ডিক্রি (রাষ্ট্রীয় উচ্চপর্যায়ের আদেশ) জারি হওয়া এবং তা কার্যকর করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানিয়েছেন। ইনফান্তিনো একজন এমন মানুষ, যিনি লেবাননের জন্য অনেক কাজ করেছেন। সে কারণেই মূলত এই নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তাও এএফপিকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন। ৫৫ বছর বয়সী ইনফান্তিনো নিজে সুইস-ইতালীয় হলেও তার স্ত্রী লীনা আল-আশকার একজন লেবানিজ। লীনা আল-আশকর অতীতে এলএফএর সঙ্গেও কাজ করেছেন।
ইনফান্তিনো লেবানিজ চ্যানেল এলবিসিআই–কে বলেছেন, ‘আমি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নাগরিকত্ব পাইনি, তবে শিগগিরই পাব। আমার খুবই ভালো লাগছে। আমি গর্বিত ও খুশি। বহু বছর ধরে আমি লেবানিজ। এবার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়াটা সত্যিই আনন্দের।
ইনফান্তিনো আরও বলেন, ‘লেবাননের একটি আধুনিক ফুটবল স্টেডিয়াম দরকার। আমরা ২০–৩০ হাজার দর্শকের জন্য নতুন একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের সম্ভাবনা যাচাই করছি। আজকের দিনে স্টেডিয়াম শুধু খেলার জায়গা নয়, এটি একটি দেশের প্রতীক। লেবাননেরও এমন প্রতীক দরকার, এটি দেশের তরুণদের জন্যও জরুরি।’
এলএফএ প্রধান হায়দার জানান, ইনফান্তিনো নতুন স্টেডিয়ামের সব খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার ভাষ্য, ‘আমাদের জমি চূড়ান্ত করতে হবে। এরপর নির্মাণপ্রক্রিয়া তারা দেখাশোনা করবে। আর তারা জোর দিয়ে বলেছে, স্টেডিয়ামটি বৈরুতেই হবে।’
বৈরুতের ক্যামিল চামুন স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়াম লেবাননের সবচেয়ে বড় মাঠ। প্রায় ৫০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই স্টেডিয়াম উদ্বোধন হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। ১৯৯৭ সালে আরব গেমস আয়োজনের আগে এটি সংস্কার করা হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মাঠটির রক্ষণাবেক্ষণ বেশ অবহেলিত।
খবরটি শেয়ার করুন