ছবি : সংগৃহীত
শীতের রাত দীর্ঘ হয়। এই দীর্ঘ রাতে বার বার খিদে পাওয়াটা স্বাভাবিক। বিশেষ করে রাত জেগে কাজ করলে বা পড়াশোনা করলে কাজের মাঝে কিছু খাওয়ার ইচ্ছা হয়। এরকম পরিস্থিতিতে খিদে মেটানোর জন্য বেশিরভাগ মানুষই চিপস, বিস্কুট, মিষ্টি, চানাচুরের মতো খাবার খেয়ে থাকেন, যা শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়।
তাহলে মাঝরাতে এমন কী খাবার খাওয়া যেতে পারে যাতে খিদেও মিটবে, খাবারটা স্বাস্থ্যকরও হবে, আবার রান্না করার ঝামেলাও থাকবে না?
মাঝরাতে খিদে পেলে ভাত, মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার খাওয়া একদমই উচিত নয়। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বা জাঙ্কফুড খেলে ওজন বেড়ে যাবে। তাই মাঝরাতে খাওয়ার জন্য হালকা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে, যাতে শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব না পড়ে।
যেসব খাবার খেতে পারেন-
ড্রাই ফ্রুটস
অল্প খিদে মেটাতে স্বল্প পরিমাণ ড্রাই ফ্রুটস খুবই উপযোগী এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার।
বাদাম
বাদাম খুব দ্রুতই খিদে মেটাতে সক্ষম। মাঝরাতে খিদেতে একমুঠো বাদাম খেতে পারেন। তবে লবণ ছাড়া খেতে হবে। চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তা বাদাম এরকম কয়েক ধরনের বাদাম মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে পরিমাণ যেন অল্প হয়। একসঙ্গে অনেক বাদাম খাওয়া যাবে না।
আরো পড়ুন : ব্যায়ামের পর যেসব খাবার খেলে বাড়বে পেশির শক্তি
বিভিন্ন বীজ
কুমড়া, শিমের বীজ শুকিয়ে কৌটায় রাখতে পারেন। এগুলো আপনার মাঝরাতের খিদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। বীজ প্রোটিনসমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরের বিভিন্ন উপকার করে।
শুকনো খাবার
একজন সুস্থ ব্যক্তি রাতে মুড়ি, চিড়া জাতীয় শুকনো খাবারও খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। ডায়াবেটিস রোগীরা মাঝরাতে এগুলো না খেয়ে বাদাম বা বীজ খেতে পারেন।
সেদ্ধ ছোলা অথবা মটর
ছোলা বা মটরদানা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
ইয়োগার্ট
ইয়োগার্ট বা দই খেতে পারেন। তবে মিষ্টি দই খাওয়া যাবে না, টক দই খেতে হবে। টক দইয়ের সঙ্গে কিছু ফল যোগ করে খেতে পারেন বা লাচ্ছি বানিয়ে খেতে পারেন।
ফল
ফলের মধ্যে দুইটা খেজুর অথবা একটি কলা খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা এটা খাবেন না। সুগার বেড়ে যেতে পারে।
ডিম
একটি সেদ্ধ ডিম খেতে পারেন। ডিম খুব দ্রুত খিদে মেটাতে সক্ষম এবং অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। তবে হাই কোলেস্টেরলের রোগীরা ডিম খাবেন না অথবা শুধু সাদা অংশটুকু খাবেন।
এস/ আই. কে. জে/